Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আধুনিক হচ্ছে মেরিন একাডেমি

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপনডেন্ট
১৩ জুন ২০২১ ১১:২৬

ঢাকা: বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য ‘অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুদ্রগামী জাহাজের কর্মকর্তাদের বিশ্বমানের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে বিভিন্ন সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি করে দেশের জন্য বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর হতে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি মার্চেন্ট মেরিন কর্মকর্তা ও ইঞ্জিনিয়ার তৈরির জন্য ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্তকরণের মাধ্যমে একাডেমির ক্যাডেটদেরকে ৪ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সাইন্স (বিএমএন) অনার্স ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও এই একাডেমি মেরিন অফিসার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদেরকে প্রিপারেটরি ও অ্যান্সিলারি কোর্স প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

নারী শিক্ষার উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও নারী সমাজের সম-অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ২০১২ সাল থেকে প্রথম বারের মত প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে ফিমেল ক্যাডেট ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে দুই বছর মেয়াদী প্রি-সি নটিক্যাল সাইন্স ও প্রি-সি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে প্রতি বছরে একসঙ্গে ৫৪৫ জন ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

পশ্চিমা দেশগুলোতে বর্তমানে মেরিন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং প্রাচ্যের দেশগুলোতে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেরিটাইম সেক্টরে প্রশিক্ষিত মানব সম্পদ জোগান দেওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, ১৭ হাজার ১০০ দশমিক ৯৩ বর্গমিটার ভবন নির্মাণ, অন্যান্য স্থাপনা, অফিস সরঞ্জামাদি মেরামত আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি, যানবাহনের জ্বালানি ও লুব্রিকেন্ট কেনা, স্থাপত্য নকশা প্রস্তুতকরণ ও ছাপানো, প্রকল্পের ত্রিমাত্রিক মডেল প্রস্তুত করা, বিজ্ঞপ্তি ও সম্মানী, মাটির উপকরণ পরীক্ষা ও ডিজিটাল সার্ভেকরণ, যানবাহন ক্রয়, বনায়ন, বহিঃ পানি সরবরাহ এবং বহিঃ বিদ্যুতায়ন ইত্যাদি।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকায়নের মাধ্যমে দেশের সমুদ্রগামী জাহাজের কর্মকর্তাদের বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। প্রশিক্ষিত মেরিন অফিসার ও নাবিকদের দেশি-বিদেশি সমুদ্রগামী জাহাজের চাকরিতে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব হবে।’

সারাবাংলা/জেজে/একে

নৌবাহিনী বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি মেরিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর