‘চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার’
১২ জুলাই ২০২৩ ১৬:২৫
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি গত অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি।
বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও ঘোষণাসংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিকূলতার পরেও ভালো ফলাফল এসেছে। গতবছর কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হয়েছে। গ্যাসের দাম বেড়েছে। এমন সমস্যার পরও তারা ভালো অর্জন করেছে। গতবছরের টার্গেট অর্জন করতে না পারলেও তার আগের বছরের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার মিলে মোট ৭২ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।’
তিনি জানান, সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি সম্ভব হয়েছিল। সেই হিসাবে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল রফতানি আয়।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে। যেটি আগের বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। পণ্যভিত্তিক দেখলে দেখা যায়, তৈরি পোশাকে প্রায় ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিট পণ্যে একটু বেশি।’
কিন্তু চামড়াসহ অন্যান্য খাতে কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সার্বিকভাবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান তিনি। তপন কান্তি বলেন, ‘আমরা যদি বৈশ্বিক রফতানির ডেসটিনেশন লক্ষ্য করি, তাহলে দেখা যাবে আমেরিকা এবং ইউরোপে মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। নভেম্বর থেকে হয়তো বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমে আসবে, ফলে নভেম্বর থেকে হয়তো সারা বিশ্বে আমাদের পণ্যের চাহিদা বাড়বে।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম