করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ওষুধ প্রশাসনের প্রস্তুতি ও নির্দেশনা
২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:১০
ঢাকা: বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নতুন এক আতঙ্কের নাম নভেল করোনাভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই মারা গেছে ১০৬ জন। চীনের বাইরেও কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে এখনো এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া না গেলেও ঝুঁকিমুক্ত তা বলা যাবে না। আর এই রোগ প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের পর্যাপ্ত উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং ফেস মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উৎপাদন বাড়ানো ও বাজারে পর্যাপ্ত মজুদসহ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে পূর্বপ্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: মাহবুবুর রহমান। অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতিমূলক যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে-
১. গেট ওয়েল লিমিটেড এবং হ্যালো ইউ বিডি ডটকম নামের বাংলাদেশি দুটি প্রতিষ্ঠানকে ডিসপোজেবল ফেস মাস্কের দৈনিক উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।
২. ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, অ্যাকটিভকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়।
৩. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়।
৪. আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ফেস মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার কী পরিমাণ মজুদ আছে তা জানানোর জন্য বলা হয়।
৫. আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের আমদানি বৃদ্ধি করার জন্য বলা হয়।
৬. ফেস মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার এক্সপোর্ট রোধ করার জন্য ল্যান্ডপোর্ট, সি-পোর্ট এবং বিমানবন্দরগুলোর কাস্টমস কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
৭. অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিনগুলোর পর্যাপ্ত উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি, মেডিকেল ডিভাইস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলারস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সার্জিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও ডায়াগনস্টিকস, রিএজেন্ট অ্যান্ড ইকুইপমেন্টস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ওষুধ উৎপাদনকারী ও মেডিক্যাল ডিভাইস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা।