সারাবাংলা ডেস্ক
নেশাজাতীয় সকল দ্রব্যের চেয়ে তামাক ও মদেই মানব স্বাস্থের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে বলে দেখছেন স্বাস্থ্য গবেষকরা। একটি নতুন গবেষণা থেকে তারা বলছেন, অন্য যে কোনও নেশার চেয়ে ধূমপান ও মদ্যপানেই বড় ধরণের স্বাস্থ্যক্ষতি ও মৃত্যুঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।
নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি এক লাখ ধূমপায়ীর মধ্যে ১১০জনই প্রাণ হারায় ওই সংক্রান্ত রোগে। আর এক লাখে ৩৩ জন মারা পড়ে মদ্যপানে সৃষ্ট রোগবালাইয়ে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এই গবেষণা চালিয়েছে।
তারা দেখছে, গবেষণায় মদ্যপায়ীদের সংখ্যা বিশ্বজুড়েই দিন দিন বাড়ছে। সবশেষ তথ্যে বিশ্বের প্রতি পাঁচ জন মদপানকারীর মধ্যে একজন মাসে অন্তন্ত একদিন অতিরিক্ত মদ পান করে মদ্যপ হচ্ছেন আর ১৫ শতাংশ মানুষই নিত্যদিনের ধূমপায়ী। কোকেইনসেবীর সংখ্যা ০.৩৫ শতাংশ। আর কোকেনসেবনে প্রতি এক লাখে মারা পড়ে প্রায় ৭ জন করে।
গবেষণার ফলে আরও দেখানো হয়েছে গত ১২ মাসে অন্তত একবার বিশ্বের ৩.৮ শতাংশ মানুষ গাঁজা ও ০.৩৭ শতাংশ মানুষ অ্যাম্ফেটামিনস সেবন করেছে। আর মদে আসক্ত মানুষ এখন প্রতি এক লাখে ৮৪৩ জন, গাঁজায় ২৬০ জন, আফিমে ২২০ জন। এর বাইরে অ্যাম্পেটামিন জাতীয় ওষুধে আসক্ত প্রতি লাখে ৮৬ জন। আর কোকেইন সেবন করছেন লাখে ৫২.৫ জন।
তামাকের কারণে সব মিলিয়ে নষ্ট হয়েছে ১৭১ মিলিয়ন জীবনবর্ষ (ডিস্যাবিলিটি-অ্যাডজাস্টেড লাইফ ইয়ারস-ডিএএলওয়াই)। আর মদে নষ্ট হচ্ছে ৮৫ মিলিয়ন জীবনবর্ষ। সুস্বাস্থ্যের এক-একটি বছর হারিয়ে যাওয়াকেই এখানে ডিএএলওয়াই বুঝানো হয়েছে। সেই তুলনায় অন্যান্য মাদকে নষ্ট হচ্ছে ২৭.৮ মিলিয়ন জীবনবর্ষ।
মাদক সেবীদের মধ্যে গাঁজা, আফিম ও কোকেনসেবী মানুষ সবচেয়ে বেশি উত্তর আমেরিকান উচ্চবিত্তদের মাঝে… ঘাতক মাদক সেবন সবচেয়ে বেশি পূর্ব-ইউরোপে আর তামাক সেবনজনিত মৃত্যুহার বেশি ওশেনিয়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দফতর ও ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভাল্যুশন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণা চালানো হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্নাল অব এডিকশনেও প্রকাশিত হয়েছে।
সারাবাংলা/এমএম