Wednesday 14 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নবজাতকের চিকিৎসায় ঢামেকে উন্নত সরঞ্জাম


১৭ মে ২০১৮ ১৫:৪২ | আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ১৫:৪৬

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: নবজাতক শিশুর চিকিৎসা ও পরিচর্যা উন্নত করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নতুন একটি ” বাবল কনটিনিয়াজ পজিটিভ এয়ারওয়ে পেশার” মেশিন ও ৭টি “সিরিঞ্জ পাম্প” দিয়েছে হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) এবং কেয়ার ফর ওম্যান অ্যান্ড চিনড্রেন (সিডব্লিউসি) নামের কানাডিয়ান দুটি সংগঠন। সব মিলিয়ে যার বাজার মূল্য ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকালে ঢামেক হাসপাতাল সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল পরিচালকের হাতে নবজাতকদের জন্য এই চিকিৎসা সরঞ্জাম তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা “সুরভি”র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এসময় সুরভি’র নির্বাহী পরিচালক আবু তাহের বলেন, “সুরভি” শিশুদের নিয়ে কাজ করে। শ্রমজীবী শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এর আগেও হাসপাতালে অনেক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কানাডার সেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডব্লউসি’তে জড়িত আছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ডা. সুমাইয়া। তিনিই এই চিকিৎসা সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এজন্য কানাডিয়ান দুই সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শিশুদের চিকিৎসার জন্য আরো সরঞ্জামাদি লাগলে তিনি দেবেন বলে আশ্বাস দেন। হাসপাতালে দান করা এসব চিকিৎসা সরঞ্জামাদির মূল্য ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

ঢামেক হাসপাতাল নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক ডা. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এরআগেও হাসপাতালের নবজাতকদের চিকিৎসার জন্য ১২টি সিরিঞ্জ পাম্প ছিলো। এখন পাওয়া এই ৭টি মিলিয়ে মোট ১৯টি সিরিঞ্জ পাম্প হলো। তবে হাসপাতালের দরকার মোট ৩০-৩৫টি। এর মাধ্যমে নিখুঁতভাবে নবজাতকদের ইনজেকশন দেওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

আর এই CPAP মেশিন মিলিয়ে মোট ৩টি হলো। যার মাধ্যমে শ্বাস কষ্ট জটিলতার নবজাতককে আরো সুন্দর ও নিপুণভাবে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা যাবে। এর ফলে নবজাতকদের চিকিৎসার মানই এগিয়ে যাবে।

শিশু বিশেষজ্ঞ ও ঢামেক হাসপাতাল নবজাতক বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, যারা যাকাত দেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যাকাতের টাকা যদি ঢাকা মেডিকেলে দেন, তাহলে যারা অসহায়, চিকিৎসা পায়না, তারা চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরো সহায়তা পাবে।

ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, এই দু ধরনের মেশিনই আমাদের ছিলো। তবে নতুন এতোগুলো মেশিন পেয়ে আমি খুশি। আমরা সবাই চাই মা ও শিশুরা নিরপদে থাকুক ও চিকিৎসা পাক। শিশুদেই চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার বেশি। শিশুদের চিকিৎসা দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে এসকল চিকিৎসা সরঞ্জামাদি আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অনেক শিশুর জীবন বাঁচাতে সাহায়ক হবে। এজন্য সবাইকে এ ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এবং সুরভি’র সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।

সারাবাংলা/এসআরএস/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর