ঢাকা: জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন বলেছেন, মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের মধ্যে এই হাসপাতালে ভর্তি ১১ জন মারা গেছে। শিশুদের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি। ক্রিটিক্যাল কাউকে বিদেশে নেওয়ার দরকার আছে কিনা ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর বলা যাবে।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের সর্বশেষ তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালটিতে এখন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আছে ৮ জন, সিবিআর ক্যাটাগরিতে ১৩ জন এবং ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে ২৩ জন। মোট ৪৪ জন এখন এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সিঙ্গাপুর থেকে আগত চিকিৎসক আপনাদের চিকিৎসায় সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের সঙ্গে আমরা প্রত্যেকটি রোগীর অবস্থা নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে যেমন- রোগীদের ড্রেসিং, অপারেশন লাগবে কিনা এবং ওষুধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা কতদিন থাকবে সেটি এখনো ঠিক হয়নি। চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমাদের তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেগুলো যুক্ত করে কাজ করছি।’
কাউকে বিদেশে নেওয়ার দরকার আছে কিনা জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না।’
ভারতের চিকিৎসকদের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানে। এটা নিয়ে আমার বলার কিছু নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে থাকা আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে চান। এই মুহূর্তে আমরা যে প্রটোকল নিয়ে আগাচ্ছি, আমরা মনে করি এই প্রটোকল নিয়েই সামনে আগাবো।’
এদিকে, উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি আছেন ১৬৫ জন।
এর আগে, গত সোমবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই যুদ্ধ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।