রোগীদের কষ্ট অনুভব করে সেবার তাগিদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
১৭ এপ্রিল ২০১৯ ২২:৪৩
ঢাকা: রোগীদের কষ্ট অনুভব করে তাদের সেবা দিতে চিকিৎসক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা পেশায় দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রোগীদের সেবায় কাজ করতে হবে।’
বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ‘চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক তার বক্তব্যে বলেন, ‘রোগীদের কষ্টকে ধারণ করে, অনুভব করে সেবা দিতে হবে। শুধু চিকিৎসকদের নৈতিকতা নয়, সেবাখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের নৈতিকতা নিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে চিকিৎসাপেশায় সম্পৃক্ত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাও অপরিহার্য।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা হাসপাতালগুলোতে যেন রোগীরা এসে সেবা পান, সেদিকে আরও নজর দিতে হবে। কর্মস্থলে সব চিকিৎসক যেন উপস্থিত থাকেন সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে স্বাস্থ্যখাত অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে কিডনি হাসপাতাল ও একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের শয্যা সংখ্যা পাঁচ হাজারে উন্নীত করা হবে।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, ‘সেবা দিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে।’
‘চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা’ বিষয়ক আলোচনা স্বাস্থ্যসেবা খাতকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান চিকিৎসা পেশার শুরু থেকে বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় নৈতিকতার বিষয় এবং চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
এ ধরনের আলোচনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘এ ধরনের আলোচনা, কর্মশালা আরও আয়োজন করা হবে।’
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আরও বলেন, ‘রোগীকে সময় দিতে হবে, কাউন্সেলিং করে তাদের বোঝাতে হবে। চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস যেন গড়ে ওঠে সে জন্য চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় দৃষ্টি দিতে হবে।’
সারাবাংলা/জেএ/একে