ঢাকা সিএমএইচে আরও দুই রোগীর কিডনি সংযোজন সফল
৩ মে ২০১৯ ১৮:৪৭
ঢাকা: ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিন দিনব্যাপী কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম শেষ হয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে। এ বছর দ্বিতীয়বারের মত আরও দুই জন রোগীর শরীরে দুটি কিডনি সফলভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ভারতের স্বনামধন্য কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠান (আইকেডিআরসি, আহমেদাবাদ) থেকে ছয় সদস্যবিশিষ্ট অভিজ্ঞ ট্রান্সপ্ল্যান্ট টিম এর তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এই কার্যক্রমটির নেতৃত্ব দেন প্রখ্যাত ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক প্রাঞ্জল রমনলাল মোদী।
জনসাধারণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দূরদর্শিতা ও সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা সিএমএইচে এ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারের কার্যক্রমটি শুরু করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ট্রান্সপ্ল্যান্ট টিম তাদের প্রথম কার্যক্রমের সূচনা করেছিলো। যার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মত আবারও ল্যাপারোসকোপিক পদ্ধতিতে দুইটি কিডনি দুইজনের শরীরে সফলভাবে সংযোজিত হয়েছে।
সিএমএইচ ঢাকার কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী জানান, কিডনি সংযোজন কার্যক্রমের পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে শরীরের অন্যান্য অর্গান (যেমন: লিভার, ফুসফুস, অগ্নাশয়) ইত্যাদি সংযোজনের প্রক্রিয়াও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এ চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকলেও ভবিষ্যতে বেসামরিক রোগীদের জন্যও এ সেবা উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্তিম পর্যায়ের কিডনী রোগ একটি জটিল দূরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনী প্রতিস্থাপন (কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট) করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র চারটি সেন্টারে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ করা হয়।
সারাবাংলা/ওএম/একে