টুইটে ‘ওয়ার্নিং’ লেবেল
২৮ জুন ২০১৯ ২০:৪৯
ঢাকা: টুইটারের নিজস্ব নিপীড়নবিরোধী নীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে— গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের এমন টুইট বার্তাগুলোতে ‘ওয়ার্নিং’ লেবেল সংযুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয়তম এই প্লাটর্ফম থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
‘ওয়ার্নিং’ লেবেলে ক্লিক করলেই ব্যবহারকারীরা বার্তাটি দেখতে পারবেন এবং জানতে পারবেন কী কী অভিযোগের ভিত্তিতে বার্তাটি এ লেবেলের আওতায় এলো।
অতীতে টুইটারের নিজস্ব নিপীড়নবিরোধী নীতি না মানলেও জনসংশ্লিষ্ট সকল টুইটবার্তা অক্ষত রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন আর সে সুযোগ থাকছে না বলে প্রতিষ্ঠানটির এক ব্লগপোস্ট ঘোষণায় জানানো হয়েছে।
ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো যখন নিজস্ব নীতিমালা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মধ্যে সমন্বয় করতে হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যেই টুইটার ‘ওয়ার্নিং’ লেবেলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল।
সমালোচকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে টুইটার। সম্প্রতি কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই টুইটবার্তার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্পের টুইটার ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। তারপরেও তিনি অভিযোগ করেছেন, টুইটার বিশেষ কারসাজি করে তার ফলোয়ার সংখ্যা বাড়তে দিচ্ছে না। টুইটার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিশ্ব নেতাদের মধ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো এবং ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির টুইটারের মাধ্যমে আপত্তিকর অনেক বক্তব্য রেখেছেন। যা নীতিমালার অধীনে অনায়াসে সরিয়ে নিতে পারত টুইটার।
যে কোনো টুইটবার্তায় ‘ওয়ার্নিং’ লেবেল দেখানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে টুইটারের পলিসি এবং আইন বিভাগের কর্মকর্তারা। প্রয়োজনবোধে তারা আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করবেন।
টুইটারের মুখপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, অতীতের আপত্তিকর টুইটবার্তা, সার্চ কীওয়ার্ড, পুশ নোটিফিকেশন এবং প্রমোশনালগুলোকেও ‘ওয়ার্নিং’ লেবেলের আওতায় আনা হবে।
সারাবাংলা/একেএম/একে