গ্রাহকের অভিযোগের ২৫ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দাবি মুঠোফোন অ্যাসোসিয়েশনের
৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০৭:৩০
ঢাকা: মোবাইল গ্রাহকদের অভিযোগের ২৫ শতাংশ ক্ষতিপূরণসহ ১৫টি দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান জহিরুল হকের সঙ্গে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন একটি স্বাধীন সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কমিশনের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তাই কমিশনকে সকল কিছুর উর্ধ্বে এসে জনস্বার্থে কাজ করতে হবে। সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ সেবার মান, ট্যারিফ, কমিশনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও আগামী ৪র্থ শিল্প বিপ্লব ও ৫ম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা চালুর ফলে দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতিসহ সকল মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সমূহের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, গ্রাহকের কাঙ্খিত সেবা ও অধিকার অর্জিত না হওয়ার ফলে গ্রাহকরা কমিশন ও আমাদের সংগঠনের উপরেও দায় চাপায়। ইতিপূর্বে গণশুনানিতে বেশকিছু সমস্যা আমরা তুলে ধরে ছিলাম। তাছাড়া বরাবর বেশ কিছু লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছি। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ট্যারিফ নির্ধারণে আমাদের সংগঠন ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিইআরসি আমাদের মূল্যায়ন করলেও বিটিআরসি আমাদের সেভাবে মূল্যায়ন করছেনা। বিশাল এ খাতটিতে গ্রাহকদের কোনো প্রতিনিধি নেই। ফলে সিদ্ধান্তসমূহে গ্রাহকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না।
বিভিন্ন দাবি উপস্থাপনের প্রেক্ষিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও জনস্বার্থে গঠনমূলক কাজ করার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে জহিরুল হক বলেন, আইনের ভিত্তিতেই সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। আর আইন তৈরি করবেন আইন প্রণেতারা, আমরা শুধু বাস্তবায়ন করি। অতএব যারা আইন তৈরি করছেন তাদেরকেও জনস্বার্থের এবং আইনের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হয়েই আইন তৈরি করতে হবে।
সংগঠনের সুপারিশ ও দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- গ্রাহকদের সেবার মান নির্ধারণ করা হয়েছে কোয়ালিটি অব সার্ভিস। অথচ বর্তমান সময়ে এই গাইডলাইন মানা হচ্ছেনা। বর্তমান সময়ে কলড্রপের মাত্রা অত্যন্ত বেশি (বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী ২ শতাংশের অধিক)। তাছাড়া নেটওয়ার্ক দুর্বলতা, ধীরগতির ইন্টারনেট, ডাটা ব্যবহারে নানাবিধ সমস্যা, যত্রতত্র বাণিজ্যিক ম্যাসেজ, রিচার্জে রিটেলারদের অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ অসংখ্য অভিযোগের কোনো নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কমিশনকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। অপারেটররা গ্রাহক বা গ্রাহকদের প্রতিনিধিদের কাছে কোনো প্রকার জবাবদিহিতা করে না। বিষয়টিতে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সংগঠনটি। এছাড়াও আরও অন্তত ১০টি দাবি বা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু বকর ছিদ্দিক, সহ-সভাপতি এ্যাড. রাশেদুল হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাড. শাহেদা আক্তার, কাজী আমানুল্লাহ মাহফুজ ও বিটিআরসির সিনিয়র সহকারি পরিচালক জাকির হোসেন খান।