দূর থেকে অফিসের কাজ স্থায়ী হচ্ছে ফেসবুকে: জুকারবার্গ
২২ মে ২০২০ ০৩:৩৮
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট লকডাউন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ অফিস চলছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতিতে। এবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, এমন নীতি স্থায়ী হতে যাচ্ছে তার কোম্পানিতে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) সরাসরি সম্প্রচার হওয়া ভিডিওবার্তায় ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের উদ্দেশ্যে এ বার্তা দেন।
জুকারবার্গ জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতি শেষ হওয়ার পরেও সিলিকন ভ্যালির অফিসে চাপ বাড়বে না। আগামী দিনগুলোতে কোম্পানির বেশিরভাগ কর্মী সিলিকন ভ্যালির প্রধান অফিস থেকে দূরে থেকেও নিজ নিজ শহর বসে কাজ করবেন। অর্থাৎ মূল কার্যালয়ের বাইরে আঞ্চলিক হাব বাড়বে।
আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে কোম্পানির অর্ধেক কর্মী সিলিকন ভ্যালিতে না এসে নিজ শহরে বসেই কাজ করবেন। তবে আঞ্চলিক হাবে সশরীরে উপস্থিত না হয়েও বাসায় বসে দিব্যি অফিস করে যেতে পারবেন কর্মীরা। জানান মার্ক জুকারবার্গ।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুকারবার্গ বলেন, ‘দূর থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরাই হতে যাচ্ছি সবচেয়ে এগিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠান। তবে আমাদেরকে এটি এমনভাবে করতে হবে যেন তাতে ভাবনাচিন্তা ও দায়িত্ববোধ থাকে। তাই আমরা একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমি মনেকরি আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে আমাদের অর্ধেক কর্মী স্থায়ীভাবে অফিসের দূরে থেকেই কাজ করবে।’
বৃহস্পতিবারের বার্তায় জুকারবার্গ বলেন, কোম্পানির কর্মচারীদের বড় অংশ নিজ নিজ শহর থেকেই কাজ করতে পারবেন। এমনকি কর্মচারীরা বাড়িতে বসেও কাজ করতে পারবেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক অফিসই হতে হবে এমনও নয়। তবে একসঙ্গে কয়েকজন বসার জন্য হয়ত কিছু ‘ওয়ার্কস্পেস’ বানিয়ে দেওয়া হবে।
এমন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জুকারবার্গ বলেন, আমরা এমন কিছু শহর থেকে জনবল নিয়োগ করতে চাই যেখানে হয়ত দক্ষ জনবল, শত শত দক্ষ প্রকৌশলী রয়েছেন। তাই সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক অফিস না করে স্থানীয় পর্যায়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়েছে ফেসবুক।
এর আগে ফেসবুক চলতি বছরে ১০ হাজার প্রকৌশলী ও কর্মচারী নিয়োগের পরিকল্পনা নেয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা, ডালাস ও ড্যানবারে তিনটি হাব তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। এসব হাবে স্থানীয় কর্মীরা মাঝেমধ্যে এসে অফিস করতে পারবেন। হাব তৈরির উদ্দেশ্য হলো- যাতে কর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে দেখা করতে পারে।
উল্লখ্য, বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের ৭০টির বেশি অফিসে প্রায় ৪৮ হাজার কর্মী কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটির এমন উদ্যোগে সিলিকন ভ্যালি থেকে প্রযুক্তি দুনিয়ার মানচিত্র সরে গিয়ে বৈচিত্র্য আসবে।