Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ দিনের জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ক্যাম্প শুরু


৭ জুন ২০১৮ ১৮:১৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্কুল পর্যায়ে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রোগ্রাম প্রতিযোগিতার জাতীয় ক্যাম্পেইন বৃহস্পতিবার (৭ জুন) শুরু হয়েছে। সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্রে চারদিন ব্যাপী জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার শেষ পর্ব চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। এই চারদিন প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতায় মেতে থাকবে সারাদেশ থেকে আগত ১৮৩ ক্ষুদে প্রোগ্রামার।

ইয়াং বাংলার সেক্রেটারিয়েট সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর সহকারী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, সারাদেশ ৬৪ জেলা থেকে বাছাই শেষে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ে ৫৫ জন উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকায় এসেছেন। অন্যদিকে পাইথন প্রোগ্রামিংয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২৮ জন প্রতিযোগী।

তিনি আরো জানান, ৭ জুন থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামে উত্তীর্ণদের নিয়ে ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে তাদের স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে আগামীকাল (৮ জুন) স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ে তাদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

একই ভাবে ৯ জুন পাইথন প্রোগ্রামিংয়ের উপর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে এবং ১০ জুন ১২৮ জন প্রতিযোগী শেষ লড়াইয়ে নামবেন বলে জানান তন্ময় আহমেদ।

স্ক্র্যাচ একটি ভিজুয়াল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং অনলাইন কমিউনিটি যা মূলত শিশুদের জন্য। স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা নিজস্ব ইন্টারেক্টিভ গল্প, গেমস এবং অ্যানিমেশন তৈরি করে একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একটা ডাইনামিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যা বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা উপলক্ষে চলতি বছর ১৬ ও ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। সারাদেশে ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সংশ্লিষ্ট স্কুল বা কলেজে কর্মরত ৩৬০ জন আইসিটি শিক্ষক এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কো-অর্ডিনেটরেরা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এরপর নিজ নিজ জেলা গিয়ে তারা গত ১২ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত নিজ নিজ কর্মস্থান সংশ্লিষ্ট শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে ঐ অঞ্চলের স্কুলগুলো থেকে বাছাই করে নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের পাইথন ও স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

এরপর জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বাছাই শেষে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ২ হাজার ৭০০ জন এবং পাইথনে ২ হাজার ৭০০ জন অংশগ্রহণ করে। স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাটিতে প্রতি তিনজন শিক্ষার্থী একটি টিম হিসেবে এবং পাইথনে প্রতিজন শিক্ষার্থী এককভাবে অংশগ্রহণ করে।

শিক্ষার্থীদের ল্যাব প্রশিক্ষণ শেষে ২ জুন এবং ৩ জুন জেলা পর্যায়ে স্ক্র্যাচ ও পাইথন প্রতিযোগিতার সম্পন্ন হয়। জেলা ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ‘স্ক্র্যাচ ভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প’ এবং দুই দিনের ‘পাইথন ভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প’ শুরু হলো আজ থেকে।

এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে থেকে সেরা প্রকল্পগুলোকে সমাপনী এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হবে।
শিশু-কিশোরদের জন্য সর্ববৃহৎ এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা যৌথভাবে আয়োজন করেছে ইয়াং বাংলা এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।

সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রাথমিক স্তর থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি প্রশিক্ষণের ঘোষণা দেন। এরপর দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতা হতে চলেছে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ আগামীর জাতি গড়ার লক্ষ্যে, শিশুকিশোরদের প্রোগ্রামিংয়ে অনুপ্রেরিত করার জন্যই এই প্রতিযোগিতা। বেসিস (বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস) এর ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) এর সহায়তায় প্রথম শুরু করেছিলাম ২০১৭ সালে, তখনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৯৮টি স্কুলে তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম স্ক্র্যাচসহ বিভিন্ন বিষয়ে’ বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সারাবাংলা/এমএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর