যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর পালটা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) হোয়াইট হাউস এ শুল্কহার ঘোষণা করে। খবর রয়টার্সের।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা করা তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও কয়েক ডজন দেশের জন্য প্রযোজ্য শুল্কহারের উল্লেখ আছে। এ বিষয় নিয়ে এর আগে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বর্তমানের গড় ১৫ শতাংশের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানি করতে হবে।
এ হার যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী হোয়াইট হাউসের ঘোষণার সাত দিন পর অর্থাৎ, ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নিচে প্রত্যাশা করেছিলাম।’
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার পণ্যে ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ, কম্পোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পণ্যে ১৯ শতাংশ পালটা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৫ শতাংশ পালটা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) দফতরের সঙ্গে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ আলোচনার শেষদিন ছিল আজ।
আগের দুই দফা বৈঠকে নানা ইস্যুতে দু’পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পালটা শুল্ক কমানোর বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। আজকের আলোচনা শেষে উভয়পক্ষ যৌথভাবে এ বিষয়ে ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশকে বর্তমানের গড় ১৫ শতাংশ ও নতুন পালটা শুল্ক ২০ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানি করতে হবে।