মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দক্ষিণ গাজার রাফাহে একটি সুড়ঙ্গ থেকে ইসরায়েলি সৈন্যের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে হামাস। এছাড়া কেন্দ্রীয় বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা উত্তর ও দক্ষিণ অংশে তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রমকারী আরও দুইজনকে হত্যা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকালের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ২৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ৭ অক্টোবর থেকে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ হাজার ১৬৯ জন হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।
নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণে একজন ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরেও হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। তুবাসের আল ফারা শরণার্থী শিবিরে অভিযানের সময় আহমেদ দায়াওশেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জানিয়েছেন, গোল্ডিনের মৃতদেহ রাফাহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে ছিল। আল-কাসসাম ব্রিগেডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দী অবস্থায় তার মৃতদেহ বহনকারী ছয়জন নিরাপত্তা সদস্যও নিহত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, রাফাহ ক্রসিং জরুরি চিকিৎসার জন্য পুনরায় চালু করা হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি রোগী চিকিৎসার জন্য মিশর ও অন্যান্য দেশে স্থানান্তরিত হয়েছে, আরও ১৬ হাজার ৫০০ রোগী বিদেশে চিকিৎসা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক স্থানান্তর ও বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। শনিবার নাবলুসের দক্ষিণে বেইতা শহরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি গ্রামবাসী ও সাংবাদিকদের আক্রমণ করে।
বর্ণবাদবিরোধী কর্মী জোনাথন পোলাক জানিয়েছেন, বসতি স্থাপনকারীরা পাহাড় থেকে পাথর ছুঁড়ে এবং লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এই আক্রমণে এক ডজনের বেশি ব্যক্তি আহত হয়েছে, যার মধ্যে একজন সাংবাদিক এবং ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তি রয়েছে, যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন।