যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের মেয়ে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:২৬
রোকেয়া সরণি ডেস্ক ।।
যুক্তরাষ্ট্রের চল্লিশতম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও ফার্স্টলেডি ন্যান্সি রিগ্যানের মেয়ে প্যাটি ডেভিস ধর্ষিত হয়েছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক প্রবন্ধে তিনি এই অভিযোগ করেছেন। কলামে তিনি লিখেছেন, ৪০ বছর আগে নামকরা একজন সঙ্গীত নির্বাহী তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক মনোনীত বিচারক ব্রেট কাভানার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ক্রিস্টিন ব্লাসি ফোর্ড। ফোর্ডকে বৃহস্পতিবার সিনেটে শুনানিতে ডাকা হলে তিনি অনেক কিছু মনে করতে পারছেন না বলে জানান। কেন ফোর্ডের মতো আরও অনেকেই যৌন নির্যাতনের ঘটনা হুবহু মনে করতে পারেন না সে বিষয়টি নিয়ে প্যাটি ডেভিস ওয়াশিংটন পোস্টে শুক্রবার একটি মতামত কলাম লিখেছেন। লেখাটির শিরোনাম ‘আই ওয়াজ সেক্সুয়ালি অ্যাসল্টেড। হেয়ার ইজ হোয়াই আই ডোন্ট রিমেম্বার ম্যানি অব দ্য ডিটেইলস’।
ডেভিস ওই সময় একজন গীতিকার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। তিনি একটি গান লিখেছিলেন যা ১৯৭৫ সালে বিখ্যাত ব্যান্ড ঈগলসের ‘ওয়ান অব দিজ নাইটস’ অ্যালবামে প্রকাশিত হয়। এর আগে গানটি প্রকাশের জন্য গেলে সঙ্গীত জগতের একজন বিখ্যাত নির্বাহী বা এক্সিকিউটিভ তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।
সেদিনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ওই এক্সিকিউটিভ কর্মদিবসের শেষের দিকে তাকে নিজের অফিসে ডেকেছিলেন। এরকম সময়ে শিডিউল দেওয়ায় বেশ সন্দেহ হয়েছিল । সেদিনের মিটিংয়ের বিস্তারিত কথোপকথন মনে করতে না পারলেও লোকটির মুখাবয়ব, চুল আর পোশাক যে তাকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল তা তার স্পষ্টভাবে মনে আছে।
তা ছাড়া ওই নির্বাহী সেদিন তাকে কোকেন গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ডেভিস লিখেছেন, ‘এর পর তিনি রুমটিতে পায়চারী শুরু করেছিলেন। একটি গাঢ় নীল রঙের কার্পেট থাকার পরেও লোকটির প্রতিটা পদক্ষেপ থেকে বিকট আওয়াজ হচ্ছিল বলে আমার মনে হচ্ছিল। হঠাতই আমার পিছনে গিয়ে দাঁড়ান তিনি। অতি দ্রুততার সঙ্গে তিনি তার হাত ঢুকিয়ে দেন আমার স্কার্টের নিচে। আর মুখ নামিয়ে আনেন আমার মুখের ওপর। এতে আমি যেন জমে যাই। আমাকে শুইয়ে দেওয়া হলো। তারপর তিনি আমার শরীরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেন। আমার শরীরে তার আপত্তিকর অঙ্গের উপস্থিতি টের পাচ্ছিলাম। আমি তার নিচে আটকা পড়ে চিৎকার করলাম। তার নিশ্বাসে কফির মতো ঘ্রাণ ছিল। তিনি কোনো জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীও ব্যবহার করেননি।
এরপর কীভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম তা স্মরণ করতে পারি না। গাড়ি চালিয়ে বাসায় এলাম। রাতটা আমি স্ট্রিটলাইটের দিকে তাকিয়ে এবং বারে বসে রাতের খাবার খাওয়া জীবন্ত মানুষগুলো দেখে কাটালাম। নিজের কাছে নিজেকে নিঃসঙ্গ, লজ্জিত ও বিধ্বস্ত মনে হতে লাগলো’, লিখেছেন ডেভিস। সূত্র: সিএনএন।
সারাবাংলা/আরএফ