Sunday 29 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫১ স্কুল শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাস ছিনতাই


২১ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫০ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০৫:২৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইতালিতে স্কুল শিক্ষার্থী ভর্তি একটি বাস ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মিলানের সান ডোনাটো মিলানেসের মার্গারিটা হ্যাক স্কুলের ৫১ শিক্ষার্থীকে বহন করা বাসটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও তাতে কেউ মারাত্মক আহত হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। ৪৭ বছর বয়সী এক বাস চালক এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে আটক করা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতালির কঠোর অভিবাসন নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই চালক।

স্কুল বাসটি নিয়ে ছিনতাইকারী রওয়ানা দিলে শিক্ষার্থীরা বাসের পেছনের কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসে। ছিনতাইকারী সেনেগালের বংশোদ্ভূত। তবে, ইতালিয়ান সিটিজেন রয়েছে তার। আটকের পর তিনি বার বার বলতে থাকেন, ‘তোমরা কেউ বাঁচবে না’। তিনি আরও বলতে থাকেন, ‘ভূমধ্যসাগরীয় হত্যা বন্ধ করো।’ প্রথম দিকে ছিনতাইকারীর নাম প্রকাশ করা না হলেও পরে জানানো হয়, তার নাম ওসেনু সাই।

বিজ্ঞাপন

মিলানের প্রধান কৌসুলি ফ্রান্সেসকো গ্রেকো জানান, এটা সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা এবং এতে মারাত্মক গণহত্যা ঘটতে পারতো।

স্থানীয়রা জানান, স্কুল বাসটি ভাইলাটি ডি ক্রেমা থেকে একটি জিমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস চালক মিলানের লিনেট বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে প্রাদেশিক একটি মহাসড়কের পথ ধরে এগুতে থাকে। ভিন্ন পথে বাসটি চলতে শুরু করলে শিক্ষার্থীরা সাহায্য চেয়ে চিতকার শুরু করে। এক শিক্ষার্থী সঙ্গে থাকা মুঠোফোনে তার বাবাকে বিষয়টি অবহিত করে। খুব দ্রুতই সেই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মিলানের পুলিশকে অবহিত করেন। পরবর্তী প্রায় ৪০ মিনিটের প্রচেষ্টায় ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। তার আগে শিক্ষার্থীরা বাসে থাকা অবস্থাতেই গোটা বাসে চালক পেট্রোল ঢালতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, চালকের হাতে একটি ছুরি ছিল। খবরটি পুলিশের কানে পৌঁছানোর পর তারা প্রথমে বাসটি খুঁজে বের করেন। এরপর বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুলিশের গাড়িও চলতে শুরু করে। এ সময় পুলিশের প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা পেছনের কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসে। স্কুল বাসটির তেলের ট্যাংকি ফুটো করে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে ছিনতাইকারী বাসটি থামাতে বাধ্য হন। তবে, তার আগেই তিনি অন্য তিনটি গাড়িকে ধাক্কা দেন। তাতে বাসটিতে বিস্ফোরণ সহ আগুন ধরে যায়।

শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে আহত না হলেও আগুনের কারণে তাদের কেউ কেউ ভীত হয়ে পড়ে। বেশ কিছু শিক্ষার্থীর হাত আগুনে অল্প পুড়ে যায়। কারো কারো অতিরিক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাদের ১৪ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিতসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই বাসটিতে থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, ছিনতাইকারী সাই হাতে ছুরি নিয়ে বলতে থাকেন তোমরা সবাই মরবে। বাসে পেট্রোল জাতীয় পদার্থ আছে। এ সময় তিনি ইতালির ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার মাতেও সালভিনিকে দোষারোপ করছিলেন। ইতালির অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। তিনি আরও বলতে থাকেন, সমুদ্রে সংঘটিত মৃত্যুগুলো বন্ধ করতে হবে। নয়তো আমি নির্বিচারে সবাইকে হত্যা করব।

একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, চালক বাসটিকে বিমানবন্দরের রানওয়েতে নিয়ে যাওয়া হুমকি দিয়েছিল। পুলিশের কারণে তিনি বাসটি সামনে নিতে পারছিলেন না। তাই নিজেই বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অবশ্য, ঈশ্বরের কারণে তার আগেই পুলিশ জানালার কাঁচ ভেঙে সব শিশুকে উদ্ধার করে।

সারাবাংলা/এমআরপি

ইতালি ছিনতাই শিক্ষার্থী স্কুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর