লাদাখে উত্তেজনা, ভারত-চীন সেনা মুখোমুখি
২৭ মে ২০২০ ১১:১৩
লাদাখে চীন-ভারত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) দুই পারেই সৈন্য ও অস্ত্র সমাবেশ বেড়েছে। সীমান্তে যখন এমন পরিস্থিতি তখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সেসময় লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতির কোন উল্লেখ করেননি শি জিনপিং। এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। ভারত ও চীনের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত খবর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ মে) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা’ এবং ‘দেশের কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য’ সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি করার নির্দেশও দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চলতি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন চলাকালে দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় শি জিনপিং এ নির্দেশ দেন।
চীনের প্রেসিডেন্টের এমন নির্দেশের আগে থেকেই লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়তসহ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠক করে লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য জানান।
ভারতের সংবাদমাধ্যগুলোর খবরে জানা গেছে, চীনের তৎপরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে ভারতও। চীন যতদিন সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র বাড়াবে ততদিন ভারতও শক্তিবৃদ্ধি করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি লাদাখ ও উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় দুই দেশই সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন বাড়িয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উপগ্রহের পাঠানো ছবিতে দেখা গেছে, লাদাখ সীমান্তে ব্যাপক সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। ছবিতে দেখা গেছে প্যানগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে চিনা বিমান ঘাঁটিতে অস্থায়ী পরিকাঠামো নির্মাণ চলছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় কয়েক হাজার সেনা বাড়িয়েছে দেশটি।
গত ৫ মে ভারত-চীন সীমান্তের সিকিম এলাকায় দুই দেশের জওয়ানরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে আহত হওয়ার পরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা গেছে, ওই দিন উত্তর সিকিমের নকুলায় শতাধিক জওয়ান কিল-ঘুষিতে জড়িয়ে যান। তবে হাতাহাতি ছাড়া বড় কোন সংঘর্ষ হয়নি।