Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইতিহাস নির্মাণের ভোট শুরু নেপালে


২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৪

Nepalis queue up to vote at a polling station in the outskirts of Kathmandu April 10, 2008. Hoping it will bring their country lasting peace after a decade of war and insurgency, Nepalis queued from dawn on Thursday to cast their vote in a historic election, the country’s first in nine years. REUTERS/Adrees Latif (NEPAL)

সারাবাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালের জাতীয় নির্বাচন শুরু হয়েছে রক্ষা রোববার। অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর শাসন থেকে রক্ষা পাক নেপাল এমন আশা দেশটির জনগণের। কেননা গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে ১০ বার।

এ নির্বাচন নেপালে ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছে আরেকটি কারণে। নতুন সংবিধানে নেপালকে ফেডারেল, অর্থাৎ সাতটি প্রদেশে বিভক্ত এবং হিন্দু রাষ্ট্র থেকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণার পর এটাই প্রথম নির্বাচন। এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে দুই দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম দফায় আজ ৩২টি জেলায় এবং দ্বিতীয় দফায় আগামী ৭ ডিসেম্বর ৪৫টি জেলায় ভোট হবে। নেপালে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫৪ লাখ।

রোববার সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই করছে দুটি জোট। শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে নেপাল কংগ্রেস পরিচালিত ‘গণতান্ত্রিক জোট’ বনাম কে পি অলির কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) এবং পুষ্পকমল দাহালের ওরফে প্রচন্ডের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অব মাওয়িস্ট সেন্টারসহ বাম দলগুলোর মঞ্চ ‘বাম জোটে’র মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। দেখা যাক শেষ সময়ে জেতে কার জোট।

নেপালের অন্যতম প্রধান এই দুটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনী জোট গঠনের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ অভিন্ন দল গঠনেরও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস ও দুই কমিউনিস্ট পার্টি পালাক্রমে নেপালের ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে ভোট গ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগেই ‘নীরব পর্যায়’ ঘোষণার পর সব রকম রাজনৈতিক সভা ও প্রচার নিষিদ্ধ হলেও পর্যটন এলাকা থামেল এবং জিয়াথা এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালাতে দেখা যায়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা, নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন এবং গুজবের বিস্তার ঘটলেও নেপালের অন্যতম প্রধান থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (সিএসএএস) পরিচালক নিশ্চল এন পান্ডে মনে করেন, নির্বাচন এত কাছে চলে এসেছে এবং জনগণের মধ্যে যে বিপুল আশা সৃষ্টি হয়েছে, কেউ চাইলেও এখন আর চক্রান্ত করে নির্বাচন স্থগিত করা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়ার আশা ব্যক্ত করে নিশ্চল পান্ডে বলেন, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। একই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন খুবই ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে।

একে

Nepal vote জাতীয়-নির্বাচন নেপাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর