পাইপ-বোমাটি আকায়েদ নিজেই বানায়
১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:৩২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশি যুবক এখন নিজেই হাসপাতালে সেটি সে নিজেই বানিয়েছিলো। এ কথা আকায়েদ উল্লাহ নামের ওই যুবক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
সে বলেছে, ইন্টারনেটে এ বিষয়ে ইনস্ট্রাকশন পড়ে সপ্তাহ খানেক আগে বোমাটি বানায়। যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই’র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
পরিবারের সাথে বনিবনা ছিলো না আকায়েদের। আর ব্রুকলিনে যে বাসায় তার বাবা-মাসহ আকায়েদের বসবাস সেখানে প্রায়শ ঝগড়া-ঝাটি হতো। প্রতিবেশিদের বরাত দিয়ে সে তথ্যও দিচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রতিবেশীরা বলেছেন, ঘটনার আগে দুই রাতই আকায়েদদের ঘর থেকে অনেক চিৎকার-চেচামেচি শোনা গেছে।
আকায়েদ উল্লাহর ব্রুকলিনে বেশ কিছু ঠিকানায় যাতায়তের তথ্য নিয়েও তদন্ত করছে এফবিআই । তদন্তকারীদের আকায়েদ উল্লাহ বলেছে, গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর ইসরাইলের হামলার প্রতিশোধ নিতেই সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সে এও বলেছে, টানেলের দেয়ালে ক্রিসমাসের পোস্টার দেখেও তার ক্রোধ বেড়ে যায়।
নিজের বানানো পাইপ বোমাটি বিস্ফোরণে আকায়েদ গুরুতর আহত হয়। তাকে নিউইয়র্কের বেলভ্যু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাত ও তলপেট মারাত্মকভাবে পুড়ে জখম হয়েছে।
টাইমস স্কয়ারের সাবওয়ে টানেল ধরে বাস ট্রানজিটের পোর্ট অথরিটির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে আকায়েদ তার শরীরে বহনকারী বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়।
সপ্তাহান্ত পরে প্রথম কর্মদিবসের সকালে এই পথটি থাকে জনবহুল। এছাড়াও ক্রিসমাস মওসুমে বেড়াতে যাওয়া, টিকিট সংগ্রহ এসব মিলিয়ে যথেষ্ট ভীড় ছিলো সে সময়টিতে। তবে আকায়েদ যখন তার বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটায় তখন সেটি পুরোপুরি কাজ করেনি। নচেৎ বড় ধরনের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারতো বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আকায়েদ উল্লাহ সাত বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি জমায়। তার পরিবার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ছিলো। আর পারিবারিক ক্যাটেগরিতে ভিসা নিয়েই সে দেশে যায় আকায়েদ। ২৭ বছরের এই যুবক সেখানকার একজন ট্যাক্সিচালকের লাইসেন্সধারী।
আকায়েদ যে আইসিসের অনুসারী তা বক্তব্যে স্বীকার করেছে বলেও জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যগুলো। সে জানিয়েছে, দেয়ালে ক্রিসমাসের পোস্টার দেখে তার আইসিসের আহবানের কথা মনে পড়ে যায় এবং নিজেই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়। আল-কায়েদা নয়, আইসিসই তার অনুপ্রেরণা এমন কথাও বলেছে আকায়েদ।
সারাবাংলা/এমএম