Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সর্ব উত্তরের দ্বীপ আবিষ্কার

সারাবাংলা ডেস্ক
২৮ আগস্ট ২০২১ ১৯:১১

গ্রিনল্যান্ড উপকূলে ক্ষুদ্র একটি দ্বীপের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। বরফ খণ্ড সরে যাওয়ায় দ্বীপটি নজরে আসে। এটি পৃথিবীর সর্ব উত্তরের দ্বীপ বলে দাবি করছেন আবিষ্কারকরা।

দ্বীপটি আবিষ্কারের ঘটনাকে বিস্ময়কর বলে আখ্যায়িত করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর্কটিক স্টেশন রিসার্চ ফ্যাসিলিটির প্রধান ও মেরু অনুসন্ধানকারী মর্টেন রাখ বলেন, ‘নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। কিছু নমুনা সংগ্রহ করছিলাম আমরা। সেসময়ই বরফখণ্ড সরে যেয়ে এই দ্বীপটি নজরে আসে আমাদের’।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞানীরা শুরুতে ভেবেছিলেন তারা বুঝি ১৯৭৮ সালে ডেনমার্কের জরিপদলের আবিষ্কৃত উডাক দ্বীপে পৌঁছেছেন। কিন্তু মাপজোখ করে পরে নিশ্চিত হন যে, তারা উত্তর-পশ্চিম থেকে ৭৮০ মিটার দূরের অন্য আরেকটি দ্বীপে উপস্থিত হয়েছেন।

গবেষকদলের সবাই উডাকে পৌঁছাতে পেরেছেন ভেবেই আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিল বলে জানান সুইজারল্যান্ডের ব্যবসায়ী ক্রিস্টিন লেস্টার। উল্লেখ্য যে, লেস্টার ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এই গবেষণাটি চলছিল।

ক্রিস্টিন লেস্টার বলেন, ‘ঘটনাটি অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। অতীতে আবিষ্কারকরা যেমন একটা ভূখণ্ডে পৌঁছে ভাবতেন— তারা বুঝি কোনো পরিচিত ভূখণ্ডে পৌঁছালেন, কিন্তু পরে দেখা যেত তারা আসলে নতুন ভূখণ্ড আবিষ্কার করে ফেলেছেন। এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটেছে’।

সমুদ্রপৃষ্ঠের কাঁদা, চলন্ত হিমবাহ বা বিশালাকৃতির বরফখণ্ডের মাটি ও পাথরের টুকরো দিয়ে তৈরি ছোট্ট এই দ্বীপের আয়তন মাত্র ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট। আর এর সবচেয়ে উঁচু স্থলভাগ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র তিন মিটার উচ্চতায়। গবেষকদলের চাওয়া, দ্বীপটির নামকরণ যেন, ‘কেকেরটাক ভ্যানারলেক (Qeqertaq Avannarleq)’ করা হয়।  গ্রিনল্যান্ডের স্থানীয় ভাষায় যার অর্থ ‘সর্ব উত্তরের দ্বীপ’।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরের ভূখণ্ড খুঁজতে কয়েক দশক ধরেই একাধিক অভিযান চলছে। এর আগে ২০০৭ সালে উত্তর মেরুর প্রখ্যাত অভিযাত্রী ডেনিস স্মিথ নতুন এই দ্বীপের কাছাকাছি আরেকটি দ্বীপ আবিষ্কার করেছিলেন।

তবে গবেষকরা এও বলছেন যে, বরফখণ্ড সরে গিয়ে উন্মুক্ত হওয়া নতুন এই দ্বীপ আবিষ্কারের সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণতার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে গ্রিনল্যান্ডে হাজার বছর ধরে জমা হওয়া বরফের চাই সংকুচিত হতে শুরু করেছে।

তবে নতুন আবিষ্কৃত এই ভূখণ্ডটি দ্বীপ না পাড় তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এটি সহসাই অবলুপ্ত হবে কি না তাও নিশ্চিত নন তারা। দ্বীপ হতে গেলে সেই ভূখণ্ডটিকে সর্বোচ্চ জোয়ারের সময়ও সাগরে মাথা উঁচু করে টিকে থাকতে হবে। অর্থাৎ, ডুবে গেলে চলবে না।

নতুন এই ভূখণ্ড সেই শর্ত আপাতত পূরণ করলেও এটি ফের তলিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গবেষকদের মতে, এমন ছোট ছোট ভূখণ্ড প্রায়ই ভেসে উঠে, আবার ডুবেও যায়। নতুন আবিষ্কৃত এই দ্বীপটি বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরের ভূখণ্ড কি না—সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত উপসংহার টানছেন না বিজ্ঞানীরা।

সারাবাংলা/আরএফ/আইই

দ্বীপ আবিষ্কার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর