ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে গুলি করাসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শেষ হয়েছে। শিগগিরই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হবে।
শনিবার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও একই ঘটনাস্থলে আরও দুজনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ প্রতিবেদন দ্রুতই প্রসিকিউশনের হাতে পৌঁছাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে উঠেন তিনি।
ওই সময় পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। একপর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন আমির। কিন্তু তাকে দেখে ফেলে পুলিশ। পরে তার ওপর ছয়টি গুলি ছোড়েন এক পুলিশ সদস্য। এতে তিন তলায় পড়ে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করেন। এরপর বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন ভুক্তভোগী এই তরুণ।
গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো সাবেক এএসআই চঞ্চল সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল। এ ঘটনায় ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সাবেক এডিসি রাশেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়।