ঢাকা: আটকের পর যুবদলকর্মী আসিফ শিকদারের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে মামলাটি করেন নিহতের মা স্বপ্না বেগম। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- রাজধানীর শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মতিউর রহমান, ডিএমপির দারুস সালাম জোনের এসি এমদাদুল হক, এডিসি জাকারিয়া ও ডিএমপির মিরপুর ডিভিশনের ডিসি মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান।
জানা গেছে, ২১ জুলাই ভোরে রাজধানীর মিরপুরে ৩০ রাউন্ড গুলিসহ আসিফসহ যুবদলের তিন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে আসিফ মারা যান। গ্রেফতার অন্য আসামির মধ্যে আসিফ শিকদার শাহআলী থানার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড (সাংগঠনিক ওয়ার্ড) ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ও একই ওয়ার্ডের যুবদলের সেক্রেটারি পদপ্রার্থী ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর ১ নম্বর নিউ সি ব্লক এলাকার ২২ নম্বর রোডের একটি বাড়ি ও এ ব্লকের ৭ নম্বর রোডের আরেকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজনকেই শাহআলী থানায় হস্তান্তর করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে আসিফ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে পুলিশের গাড়িতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎক মৃত ঘোষণা করেন।
আসিফের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও শাহ আলী থানা ঘেরাওয়ের মামলা রয়েছে। সম্প্রতি মিরপুর মডেল থানার একটি চাঁদাবাজির মামলায় তিনি জেল থেকে বের হয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে আসিফসহ ১৬ জনকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়।