ঢাকা: অনিয়মের অভিযোগে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি ড. মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। জেলা জজ থাকাকালীন তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছিলেন।
রোববার (৩১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এর আগে, অনিয়মের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে আখতারুজ্জামানকে তলব করেছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। গত ১ জুলাই তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সেই ব্যাখ্যা দেওয়ার পরই আজ পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্রটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে, গত বছরের ১৬ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগ ও সরকারঘনিষ্ঠ ভূমিকায় বিতর্কের জেরে আরও ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। একইসঙ্গে তাদের বেঞ্চও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযোগ ওঠার পর ওই ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। সেই ধারাবাহিকতায় বিচারপতি আখতারুজ্জামানকে জবাবদিহির জন্য ডাকা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক হিসেবে বকশীবাজারে স্থাপিত কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে বসেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ড. মো. আখতারুজ্জামান।