।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে, নিজ দলের বিকল্প প্রার্থী থাকলে, তারা যদি তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চায় তাদের সেই সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, আমিনুল হক হেলাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মোখলেছুর রহমান।
পরে আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জিতেছি। পরে দুদক আপিল করার পর আপিল বিভাগ পুনঃশুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পাঠান। যখন হাইকোর্টে ২০০৯ সালে এসেছিলাম তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে কনভিকশন ও সেন্টেন্স সাসপেন্ড করেছিলেন হাইকোর্ট। এ অর্ডারটা এখনো বহাল আছে।
আজকে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আর্গুমেন্ট করলেও আপিলের কোন নির্দেশনা দেখাতে পারেনি। আমরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নজির দেখিয়েছি। পরে আদালত শুনানি নিয়ে মনোনয়ন গ্রহণে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ আদেশের প্রেক্ষিতে এখন তার নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আইনজীবী সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা বলেন, আজকের আদেশের ফলে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই। ওনার (দুলুর) দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে দণ্ড হয়েছিলো। যেটা হাইকোর্টে সাসপেন্ড হয়ে আছে।
এর আগে ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করে নাটোর- ২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সিরাজগঞ্জ- ২ আসনের বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়ন বাতিল করে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।
পরে তারা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। কিন্তু আপিলেও টেকেনি মনোনয়ন। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপির এই দুই প্রার্থী।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ