সুপ্রভাত বাসের কন্ডাক্টর ও হেলপার ৭ দিনের রিমান্ডে
২৭ মার্চ ২০১৯ ১৭:২৭
ঢাকা: বাসচাপায় বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহতের মামলায় সুপ্রভাত বাসটির কন্ডাক্টর ও হেলপারের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলো সুপ্রভাত বাসের কন্ডাক্টর (চালক) মো. ইয়াছিন আরাফাত (২২) ও হেলপার মো. ইব্রাহীম হোসেন (২১)।
এদিন আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তাই জামিন শুনানি হয়নি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘সুপ্রভাতের চালক সিরাজ গ্রেফতার হওয়ার পরে তার স্বীকারোক্তিতে অপর আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এই বাসটি যারা চালাচ্ছিলেন তাদের কারও লাইসেন্স ছিল না। রিমান্ড নেওয়ার পর আরও তথ্য জানা যাবে। সেই সঙ্গে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’
ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও বাস মালিককে গ্রেফতারের লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চান। শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে, বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, গত ১৯ মার্চ সকাল ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস। পুলিশ জানায়, বাসটি শাহজাহাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় পৌঁছালে মিরপুর আইডিয়াল গার্লস কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় সাধারণ জনতা চালক সিরাজুলকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ তাকে গুলশান থানায় পাঠায়। পরে বাসটি চালিয়ে নিয়ে যান কন্ডাক্টর। যদিও পরে বসুন্ধরা গেট এলাকায় আবরারকে চাপা দেওয়ার সময় ধারণা ছিল, বাসের চালক সিরাজুলই আরবারকে চাপা দেন। তবে পুলিশ তদন্ত শেষে জানিয়েছে, সিরাজুল নন, বাসটির কন্ডাক্টর ইয়াসিন আরবারকে চাপা দেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের নতুন তথ্য, আবরারকে সিরাজুল নয় চাপা দেন ইয়াছিন
ইয়াছিনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, প্রথমে ছাত্রীটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর সেখানে বাসটি আটকায় সাধারণ জনতা। এ সময় হেলপার ও কন্ডাক্টর বাসের মালিক ননী গোপাল সরকারকে ফোন দিয়ে সাধারণ জনগণ বাসটি পুড়িয়ে ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা জানায়। এ সময় ননী গোপাল তাদের যেকোনো মূল্যে বাসটি বাঁচানোর কথা বলেন। এরপর কন্ডাক্টর দ্রুত বাসটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আবরারকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় মূল আসামি হিসেবে ইয়াছিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের জন্য আদালতে হাজির করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/একে