Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আজও ৫০০ টাকা ধার করে কোর্টে এসেছি ’


৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:১০

ঢাকা: গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো রাসেল সরকার খুব কষ্টে আছেন বলে জানিয়েছেন  সংবাদকর্মীদের। রাসেল বলেন,‘ অভাব অনটনের মধ্যে  খুব কষ্টে আমার সংসার চলছে। আজও ৫ শ টাকা ধার করে আদালতে এসেছি।’

আদালতের রায়ে খুশি থাকলেও রায় বাস্তবায়ন নিয়ে শঙকায় আছেন বলেও জানান রাসেল।বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) হাইকোর্টের আদেশের পরে নিজের অবস্খান তুলে ধরে  এসব কথা বলেন রাসেল সরকার।

এর আগে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রিনলাইনকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে ক্ষতিপূরনের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য সময় বেধে দেন।আদালতের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করলেও রায় বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন রাসেল সরকার।

                                  আরও পড়ুন: রাসেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে আরও ৭ দিন সময় পেল গ্রিনলাইন

রাসেল সরকার জানান, এ দুর্ঘটনার পর থেকে খুবই কষ্টে আছি। আজও একজনের কাছ থেকে ৫শ টাকা ঋণ করে কোর্টে এসেছি। এর আগে আমার আইনজীবীও আমাকে এক হাজার টাকা দিয়েছেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। আপনারা আমার বাসায় এসে দেখতে পারেন। আমরা কিভাবে দিন যাপন করছি।

গ্রিনলাইন বিষয়ে রাসেল বলেন, তারা অনেক বড় কোম্পানী এ কারণে অনেক সময় আতংকেও থাকি। ভয়ে থাকি। আমার পক্ষ থেকে কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তাতেই আমরা সন্তুষ্ট।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ তিন দিনের মধ্যে পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরন দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাসেল ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় ফের বিষয়টি আদালতে আসে আজ।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

রাসেলের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম, গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তার বাসা। স্থানীয় একটি রেন্ট-এ-কার থেকে প্রাইভেট কার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।

সারাবাংলা/ এজেডকে/জেডএফ

গ্রিনলাইন বাসচাপা রাসেল হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর