Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভেজালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অনুরোধ হাইকোর্টের


১২ মে ২০১৯ ১৫:৫৬

ঢাকা: বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ভেজালের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভেজালের বিরুদ্ধে সরকারকে যুদ্ধ ঘোষণার অনুরোধ জানিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া নিরাপদ খাদ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারকে জিরো টলারেন্স দেখানোর আহ্বানও জানিয়েছেন আদালত।

রোববার (১২ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক পর্যবেক্ষণে এ অনুরোধ জানান।

এর আগে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় নিম্নমান প্রমাণিত হওয়ায় নামিদামি বিভিন্ন কোম্পানির ৫২টি পণ্য জব্দ ও বাজার থেকে সে সব তুলে ধ্বংসের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সব পণ্যের উৎপাদন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন শিহাব উদ্দিন খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ফরিদ।

আরও পড়ুন: নিম্নমানের ৫২ পণ্য বাজার থেকে তুলে ধ্বংসের নির্দেশ

পরে আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার এর আগে যেমন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, প্রয়োজনে ভেজালের বিরুদ্ধেও একইরকম ব্যবস্থা নেবে।’

আদালত আরও বলেছেন, রমজান মাস এলেই শুধু ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা কাম্য নয়। এটি সারাবছর চলা উচিৎ। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদেরকে দেশপ্রেমিক হিসেবে কাজ করতে হবে। তারা শুধুমাত্র একজন কর্মকর্তা হিসেবে নয়, জনগণের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

ভেজাল পণ্য ঠেকাতে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের মধ্যে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলেও উল্লেখ করেছেন আদালত।

হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘কোর্ট যেহেতু সরকারের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সুতরাং সরকারকে আদালত অনুরোধ জানিয়েছেন এই মুহূর্তে ভেজালের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদ পানি পান করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।

নামিদামি বিভিন্ন কোম্পানির ৫২টি পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে ৯ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে কনশাস কনজিউমার সোসাইটি।

৫২টি পণ্য হলো সিটি ওয়েলের সরিষার তেল, গ্রিন ব্লিচিংয়ের সরিষার তেল, শমনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার, মিজানের ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দিঘীর ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, প্রাণের হলুদ গুঁড়া, ফ্রেশের হলুদ গুঁড়া, এসিআইর ধনিয়ার গুঁড়া, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, মিস্টি মেলার লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইর আয়োডিনযুক্ত লবণ, মোল্লা সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডস এর সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিলের হলুদ গুঁড়া, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ফুডের হলুদ গুঁড়া, গ্রীন লেনের মধু, কিরনের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচ গুঁড়া, ডলফিনের হলুদের গুঁড়া, সূর্যের মরিচের গুঁড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদীনার আয়োডিন যু্ক্ত লবণ ও নুরের আয়োডিন যুক্ত লবণ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

নিরাপদ খাদ্য ভেজাল পণ্য হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর