তথ্য লুকিয়ে হাইকোর্টে ৩ বার জামিন আবেদন, ৩ লাখ টাকা জরিমানা
৩০ জুন ২০১৯ ১৪:৫২
ঢাকা: তথ্য গোপন করে এক মামলায় তিনবার জামিন আবেদন করায় এক আসামির বাবাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। ওই আসামির বাবা মামলার তদবিরকারক ছিলেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ অর্থ আগারগাঁওয়ের প্রবীণ হিতৈষী সংঘকে দেড়লাখ এবং বাকি দেড় লাখ গাজীপুরের বৃদ্ধাশ্রমকে দিতে হবে।
রোববার (৩০ জুন) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী মো. আবদুস সামাদ।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বেলকুচি শাখায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে উপাত্ত পরিবর্তন, ভুয়া নাম ব্যবহার, স্বাক্ষর জাল করে ও কম্পিউটারে ভাউচারবিহীন ভুয়া লেনদেন দেখিয়ে ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৪৫ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে।
এরপর ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পরদিন গ্রেফতার হন হাফিজ। সেই থেকে হাফিজ জেল হাজতে রয়েছেন। এরমধ্যে জামিন চেয়ে আবেদনের পর সিরাজগঞ্জ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
ওই নামঞ্জুর আদেশ দিয়ে জামিনের জন্য হাইকোর্টে পরপর তিনটি আবেদন করা হয়। তার মধ্যে প্রথমে গত ১০ মার্চ হাইকোর্টের ১৯ নম্বর বেঞ্চ উপস্থাপিত হয়নি মর্মে জামিন আবেদনটি খারিজ হয়। দ্বিতীয়টিতে হাইকোর্টের আরেক বেঞ্চ ৮ এপ্রিল জামিন নিয়ে রুল জারি করেছিলেন। এ দুটি আবেদনকে গোপন রেখে আসামির বাবা মো. শফিজ উদ্দিন ফের তদবিরকারক হয়ে আরেকটি আবেদন করেন।
বিষয়টি আদালতের নজরে আসায় আসামির বাবাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে তার জামিন আবেদনও আদালত খারিজ করেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/একে