Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হওয়া উচিত: হাইকোর্ট


১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৫৫

ঢাকা: আসছে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে সকল জাতীয় দিবসে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন হাইকোর্ট ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ‘জয় বাংলা’ কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অভিমত দেন।

পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত আজ বলেছেন সামনে ১৬ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী সব অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ভাষণ-বক্তৃতায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষে সাবমিশন ছিল সংবিধানের ৩ ও ৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রভাষা, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় প্রতিক, জাতীয় পতাকার বিষয় থাকলেও জাতীয় স্লোগানের কথা নেই। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানে আছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’ ঘোষণা বিষয়ে আনা রিটের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।’

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সংযোজন আছে। সেই হিসেবে ‘জয় বাংলা’ সংবিধানের অংশ হিসাবে আছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে জাতীয় স্লোগান থাকার কথা তুলে ধরেন আমিন উদ্দিন।

আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আমাদের উদ্দিপ্ত করেছিল। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। ‘জয়বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণায় সকলেই একমত।

জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা চেয়ে আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিব বিবাদী করা হয়েছিল।

আদেশ জয় বাংলা হাই কোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর