জামিন হয়নি অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:১২
ঢাকা : অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে আসামির জামিন বিষয়ে শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। শুনানি শেষে আদালত সেলিম প্রধানের জামিনের আবেদন নাকচ করে দুই ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেন।
সাক্ষীরা হলেন- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মোশারফ হোসেন ও রুপালী ব্যাংকের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক মো. আবু জামাল খান। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ২ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটিতে মোট ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৬ এর বিচারক আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
উল্লেখ, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
তবে চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালেল ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যাওয়ায় ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
ওই ঘটনায় গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দু’টি মামলা করে র্যাব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েকদফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে।
সারাবাংলা/এআই/ইআ