গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, খালাস ২
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৪৯
ঢাকা: গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের পাঁচ বছর বয়সি শিশু তাছিন মিয়া ওরফে অর্ণব হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে জাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। পাভেল ও রুবেলকে খালাস পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এ কে খান উজ্জল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৭ জুলাই সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম রোমেলের ছেলে পাঁচ বছর বয়সি তাছিন মিয়া ওরফে অর্ণব পাশের পীরগাছা গ্রামের নানা নজরুল ইসলাম মধু মিয়ার বাড়ি বেড়াতে যায়।
তাছিনের নানার সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে জাহিদ, পাভেল ও রুবেল ওই দিন তাছিনকে অপহরণ করে। ওই রাতেই তাছিনের মাকে ফোন করে জহিদ ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেয়ে তাছিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ওই গ্রামের এক পুকুরে কচুরি পানার নিচে তাছিনের লাশ লুকিয়ে রাখেন। এরপর ২৮ জুলাই তাছিনের বাবা সদর থানায় ১০ জনের নামে মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রত্নেশ্বর ভট্টাচার্য। বাকি সাত জনকে খালাস দেন।
দণ্ডিতরা হলেন, গাইবন্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের খামার পীরগাছা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জাহিদ, একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে পাভেল ও একই উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বিল্টু মিয়ার ছেলে রুবেল।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ