বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৩ জনকে অব্যাহতি
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৮
ঢাকা: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। অপর দুইজন হলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের তাদের অব্যাহতি দিয়ে এ রায় দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন ও হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। এরপর খালেদাসহ অপর আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দেন।
মামলার অন্য আসামি হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান ও মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অন্য আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান। সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন মারা যান।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ