Friday 24 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে: আসিফ নজরুল

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
৩ আগস্ট ২০২৫ ০৯:০১ | আপডেট: ৩ আগস্ট ২০২৫ ০৯:০৬

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবসের আয়োজনে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

ঢাকা: সরকার যাওয়ার আগে প্রবাসীদের জন্য কিছু করে যেতে চায়। প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবসের আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে, যা ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গেও নেই। এই চুক্তি হলে বাংলাদেশিরা আরও সুযোগ-সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি।

যারা বিদেশে যেতে চান, তাদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, একটু খোঁজখবর নিয়ে সেখানে যাবেন। বিদেশে গিয়ে অনিশ্চিত জীবনে ঝাঁপ দেবেন না। বরং টাকা-পয়সা থাকলে দেশে থেকেই ব্যবসা করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এদেশে ১৮ কোটি মানুষ, কত ভোক্তা! ছোট্ট একটা দোকান দিয়ে বসলে কত লাভ হয়। আমি আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি না, মরিয়া হয়ে বিদেশ যাবেন না। ১০-১৫ লাখ টাকা খরচ করে অনিশ্চিত একটা ভবিষ্যতের দিকে লাফ দিলেন, অনুগ্রহ করে এমন করবেন না। এই টাকা থাকলে আপনি অসহায় না, দেশে ছোট একটা ব্যবসা করেন। দ্বিতীয়ত যারা বিদেশ যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশই ভালো মানুষ, ঠিকমতো কাজ করেন। বাকি এক শতাংশ সেখানে অনেক ধরনের ঘটনার জন্ম দেয়। যার জন্য ৯৯ শতাংশের অনেক কষ্ট হয়। সে দেশগুলোতে লোক পাঠাতে আমাদের আরও কষ্ট হয়।’

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘নিজেদের জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে জুলাই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। তাদের সেই আত্মত্যাগ চোখে দেখা না গেলেও অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে জুলাই আন্দোলনে।’

দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে অনুরোধ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘যারা বিদেশে থাকেন, তাদের মনে রাখতে হবে— আপনারা বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। এমন কিছু করবেন না, যাতে আপনাদের কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের ধারা অনেকটাই ইতিবাচক। গত বছরের জুলাই মাস থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৩০ হাজার ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরে একই সময়ে এসেছে ২৩ হাজার ৯১২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।

যে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে শহিদ ও আহত ভাইদের উৎসর্গ করে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ। রেমিটেন্স আয়ের দিক থেকে ২০২৪ সালে বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।

সারাবাংলা/একে/এমপি