Thursday 04 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ানের সমষ্টিগত পদক্ষেপের আহ্বান

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৪ | আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৮

ঢাকা: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সমষ্টিগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর)।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি সতর্ক করে জানায়, সংকট সমাধানে আসিয়ান নিষ্ক্রিয় থাকলে মানবপাচার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানসহ নানা ঝুঁকি বেড়ে পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।

এপিএইচআর জানায়, সফরকালে তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এতে সংকটের টেকসই সমাধান, অনুসন্ধানের ফলাফল এবং রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর ও স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর উদ্বেগ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংস্থাটি জানায়, ২০১৮ সালের পর এ মিশনের উদ্দেশ্য ছিল আসিয়ান দেশগুলোকে শিবিরের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে আসন্ন খাদ্য সংকট সম্পর্কে অবহিত করা। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) আগেই জানিয়েছে, ২০২৫ সালের নভেম্বরের পর পর্যাপ্ত তহবিল না পেলে খাদ্য বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য প্রতি মাসে অন্তত ১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন।

এপিএইচআর অবিলম্বে একটি আসিয়ান মানবিক তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী সহায়তা প্রদানে এবং ক্ষুধা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা শিশু ও যুবকদের জন্য স্বীকৃত শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফিলিপাইন সরকারের শিক্ষা সহায়তার প্রশংসা করে তারা বলেছে, অন্য আসিয়ান রাষ্ট্রগুলোকেও এই উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।

এপিএইচআরের সহ-সভাপতি ও মালয়েশিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য চার্লস সান্তিয়াগো বলেন, “সংকট শুরুর আট বছর পরও আসিয়ান এটিকে নিজেদের সমস্যা হিসেবে দেখছে না। যদি এভাবে চোখ বন্ধ রাখা হয়, গোটা অঞ্চলকেই মানবপাচার ও অস্থিতিশীলতার খেসারত দিতে হবে।”

মালয়েশিয়ার সংসদ সদস্য ওং চে বলেন, “রোহিঙ্গারা যেহেতু মিয়ানমারের নাগরিক, আর মিয়ানমার আসিয়ানের সদস্য— তাই রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়া আসিয়ানের দায়িত্ব।”

ফিলিপাইনের সাবেক এমপি রাউল ম্যানুয়েল বলেন, “শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ ছাড়া রোহিঙ্গা তরুণদের বন্দি করে রাখা যাবে না। তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও গণতান্ত্রিক মিয়ানমার গঠনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের সাবেক ও বর্তমান এমপিদের সমন্বয়ে গঠিত এপিএইচআরের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছে।

সারাবাংলা/একে/এমপি

আসিয়ান এপিএইচআর পদক্ষেপ রোহিঙ্গা সংকট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর