ঢাকা: ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ দ্রুত পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে ডাক বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা ডাক বিভাগের মোট সম্পদ ও বেদখল সম্পদের তালিকা তৈরি করেছি। দ্রুতই বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের সমন্বয়ে বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান এড্রেস ম্যানেজমেন্ট (ঠিকানা ব্যবস্থাপনা) কাঠামো ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য উপযোগী নয়। তাই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা এড্রেস ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে এরিয়া, স্ট্রিট ও হাউজ কোড একীভূত করা হবে এবং ঠিকানার সঙ্গে জিও ফেন্সিং যুক্ত থাকবে।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ঠিকানা ব্যবস্থাপনা ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় ডাক ও কুরিয়ার আইন হালনাগাদের মাধ্যমে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, নভেম্বরের মধ্যেই সংশোধিত আইন মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ডাক বিভাগের মেইল ও পার্সেল ট্র্যাকিং সিস্টেমে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ট্র্যাকিং সম্ভব। সফটওয়্যার উন্নয়নের মাধ্যমে এটি শতভাগে উন্নীত করার কাজ চলছে।”
ই-কমার্সের সঙ্গে ডাক বিভাগকে যুক্ত করার উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “শহর ও গ্রামের মানুষ যেন সমানভাবে ডাক বিভাগের ই-কমার্স সেবা পায়, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। একই সঙ্গে ই-কমার্সে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডাক ভবনের সামনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ডাক ভবনের নিচতলায় ২০টি স্টল নিয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়, যেখানে প্রাচীন ডাকটিকিট প্রদর্শন চলছে। এ প্রদর্শনী চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা।