ঢাকা: নির্বাচনি পর্যবেক্ষণের আড়ালে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ এসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করুক—এটা সরকার চায় না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবে কি না—এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা ইতোমধ্যেই প্রাক-নির্বাচনী দল পাঠিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই প্রতিনিধি দল এসেছে। আমরা বলেছি, সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বদ্ধপরিকর। যারা পর্যবেক্ষণে আসতে চান, আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। তবে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের আড়ালে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্নাম করার জন্য আসুক, সেটা আমরা চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই পর্যবেক্ষণে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা চাই আরও পর্যবেক্ষক আসুক।’
দেশি-বিদেশি অংশীজনদের উদ্বেগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন শেষ না হয়, দেশে-বিদেশে কিছু উদ্বেগ থাকবেই।’
বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারা পর্যবেক্ষক হবেন, সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। আমরা ভিসা প্রদানে সহায়তা করবো।’
ভারতের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত কেন কোনো প্রশ্ন তোলেনি—এই প্রশ্নটা আপনাদের করা উচিত ছিল।”
সম্প্রতি দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রের সঙ্গে ডিকাব সদস্যদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া মেনেছি। তারা এখনও কোনো জবাব দেয়নি। তারা তাদের দিক থেকে বিষয়টি দেখছে।”
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আপনাদের বলেছেন, তারা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। তখন আপনাদের জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল—গত ১৫ বছরে তারা কেন এমন প্রশ্ন তোলেননি? আগের নির্বাচনগুলো কি সুষ্ঠু ছিল?’
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সমস্যা সৃষ্টি করবে—এমন কেউ এখানে আসবে না। এর বেশি কিছু এখন বলতে চাই না।’