ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় আনসার সদস্য জেনারুল ইসলামকে বরখাস্ত করেছে বাহিনী। শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বাহিনীর সদর দফতর বলছে, এটি একটি ‘বিচ্ছিন্ন অনৈতিক ঘটনা’, যা কোনোভাবেই পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি বা পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে না।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত আনসার সদস্য লোভের বশবর্তী হয়ে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্য থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
বাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্বে থাকা জেনারুল ইসলামের পোশাকের ভেতর থেকে পুরোনো মডেলের ১৪টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হলে বাহিনী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়।
বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে অভিযুক্ত সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি, বাহিনী থেকে বহিষ্কার এবং কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—বিশেষ করে বিমানবন্দরসহ সংবেদনশীল জায়গায় আনসার সদস্যরা সীমিত সুযোগ-সুবিধা নিয়েও নিরলসভাবে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সীমিত বেতন, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা ও প্রতিকূল পরিবেশেও তারা চোরাচালান প্রতিরোধ, মানবপাচার রোধ এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন।
বাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি একান্তই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একজন সদস্যের অনৈতিক আচরণের দায় পুরো বাহিনীর ঘাড়ে চাপানো অনুচিত। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, সেবা ও স্বার্থরক্ষায় প্রতিদিন নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
সংগঠনটি জানায়, শৃঙ্খলাবিরোধী বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই নীতি অব্যাহত থাকবে।