ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, ‘আপনারা আচরণবিধি মেনে চলবেন। কেউ যদি গো ধরে বসে থাকে যে মানবই না, তাহলে তো সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আমরা কোনো সংঘর্ষ চাই না, কাউকে মোকাবিলা করতে চাই না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আচরণবিধি পরিচালনা করে এগিয়ে যেতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা আইন বানাবেন, আমরা তা মেনে চলব। এখানে আমাদের করার কিছু নেই। তাই দায়িত্বশীল আচরণ সবার কাছ থেকেই প্রত্যাশা করি।’
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব ও সুপারিশগুলো কমিশন পর্যালোচনা করবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তাদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও দেশে যারা বাদ পড়েছেন, তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আচরণবিধি প্রতিপালনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই মানলে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো হবে। এখন কিন্তু একটা সুযোগ— এই নির্বাচন ভালোভাবে আয়োজন ছাড়া উপায় নেই। আমরা নদীর মাঝখানে, নৌকাটা একবার দুলে উঠলে ডুবে যাবে। রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবেন, তাই সঠিকভাবে নির্বাচনটা না হলে কী হতে পারে, সেটা ভাবা উচিত।’
নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘ইসি এবার ভোটে রেফারির ভূমিকায় থাকবে। দলগুলো মাঠে থাকলে এবং সবার সহযোগিতা পেলে রেফারির কাজটা সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব।’