Wednesday 19 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অধ্যাদেশ জারির পরই গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৯ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০৮

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের চতুর্থ দিনের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের ঘোষণা এলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অধ্যাদেশ (আইন) জারির পর— এ কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের চতুর্থ দিনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপিসহ ছয়টি দলের সঙ্গে এদিন মতবিনিময় করে ইসি। চার দিনে মোট ৪৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনী বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘এই আইনটা হলে আমার একটা দায়বদ্ধতা আসবে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার। আমি এখনই এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার অবস্থায় নেই। কিন্তু রাজনীতিবিদরা বহু কিছু জানতে চাইছেন— কীভাবে হবে, কীভাবে জবাব দেব, কতটা বাক্স হবে… এসব বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা ও প্রস্তুতি শুরু করবো আইনটা হওয়ার পরে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘ইলেকশন নিয়ে আমাদের কম অভিজ্ঞতা হয়নি; যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদের উচিত হবে দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করা। রাজনৈতিক বাস্তবতা কী— রাজনীতিবিদরাই তা জানেন।’

সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির চাপ বা ‘হিটওয়েভ’ সম্পর্কে সিইসি বলেন, “আমি আর বিস্তারিত বলতে চাই না। এখানকার রাজনৈতিক বাস্তবতার হিটওয়েভ আমি অনুভব করি। এটি খুব মসৃণ বাস্তবতা নয়, আর সামাজিক বাস্তবতাও তেমন নয়। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমাদের এগোতে হচ্ছে।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও বাস্তবতাকে গ্রহণ করেই এগোতে হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘এমন নয় যে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই সবকিছু ইগনোর করা সম্ভব। আপনাদের (রাজনীতিবিদদের) যদি এখানে বসিয়ে দিই, আপনাদের পক্ষেও সম্ভব নয়। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে স্মার্টলি চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হয়। একেবারে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।’

তিনি জানান, ‘‘সাবদিকের বাস্তবতা মাথায় রেখে আমাদের এগোতে হবে। আমরা ‘স্লো অ্যান্ড স্টেডি’ ওয়েতে কাজ করবো। কথা কম, কাজ বেশি— এই নীতিতে এগোচ্ছি আমরা। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে সফলভাবেই এগোতে পেরেছি।”

গণভোটের বিষয়ে সিইসি বলেন, “রেফারেন্ডাম কীভাবে করবো— সেটার আগেই আইনটা হতে হবে। ঘোষণায় বলা আছে— একটি আইন হবে, যা নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেবে এবং নির্দেশনা দেবে গণভোট কোন বিষয়ে হবে ও কীভাবে হবে।”

১৯৯১ সালের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘আইনটা হওয়ার পরই আমাদের দায়িত্ব আসবে এ বিষয়ে বক্তব্য ও প্রস্তুতি নেওয়ার। এর আগে আমি জানিই না— হোয়াট কোর্স ইট উইল টেক। আইন হওয়ার পরই চূড়ান্ত এক্সারসাইজ শুরু করবো।’

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর