ঢাকা: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) বাতিলের সিদ্ধান্তকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, এই সিদ্ধান্ত মানবাধিকার ও মানবিক শালীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান সংকটের অপ্রতিরোধ্য প্রমাণ উপেক্ষা করে ‘নিষ্ঠুর কল্পকাহিনীর’ ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত হাজার হাজার মানুষকে চরম ঝুঁকিতে ফেলবে এবং একইসঙ্গে এমন এক নৃশংস শাসনব্যবস্থাকে বৈধতা দেবে, যারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণে যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, “এটা অকল্পনীয় যে মিয়ানমারের পরিস্থিতির কোনো সৎ মূল্যায়ন থেকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে দেশটি নিরাপদ বা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, সামরিক জান্তা দেশটিকে সহিংসতা ও দমনের এক নিম্নগামী চক্রে বন্দি করে রেখেছে। এ বছর বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। সেনাবাহিনী গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে, গির্জা ও জেলে বোমা বর্ষণ করছে, নির্যাতন চালাচ্ছে এবং বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে।
গত ২৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ঘোষণা করে, মিয়ানমারের জন্য টিপিএস বাতিল করা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বর্তমানে প্রায় ৪,০০০ মিয়ানমারের নাগরিক এ সুরক্ষা সুবিধার আওতায় আছেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নয়েম দাবি করেন, আসন্ন নির্বাচন ও যুদ্ধবিরতির কারণে মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন তার নাগরিকদের “নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে আর বাধা নয়”।