ঢাকা: ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি-টোবাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞা এবং আত্মা এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধ্যাদেশটির অনুমোদন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দ্রুতই অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। এটি যত দেরি হবে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের সুযোগ ততই বাড়বে। সংশোধনী ঘিরে কোম্পানিগুলোর ব্যাপক হস্তক্ষেপের নজির ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি।’
তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। ক্যানসার, স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ফুসফুসের ব্যাধিসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। দেশে এখনো ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে।
গবেষণা অনুযায়ী, তামাক ব্যবহার ও উৎপাদনে বছরে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি ৮৭ হাজার কোটি টাকা, যা একইসময়ে তামাক থেকে আহরিত রাজস্বের দ্বিগুণেরও বেশি।
তামাকের ব্যবহার কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন আরও শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ ও বাস্তবায়িত হলে তামাকজনিত মৃত্যু উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পাবে, যা একইসঙ্গে এসডিজি-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সহায়তা করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।