Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উচ্চ আদালত আপিল গ্রহণ করলে নির্বাচন করতে পারবেন খালেদা


২৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, কোনো প্রার্থী দুই বছরের অধিক দণ্ডে দণ্ডিত হয়ে সাজা ভোগ করলে, তারা সাজা শেষ হওয়ার পর একটা সময় পার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আর যারা (বেগম খালেদা জিয়া) দণ্ডিত হয়ে দণ্ড ভোগ করতেছেন, তাদের ব্যাপারে আপিলে যদি তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার বিষয়টা স্পষ্ট বলা না থাকে তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু যদি বলা থাকে আপিলের আগের সাজাটাকে স্থগিত করা হয়নি, তখন আমাদের পক্ষ থেকে তার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।

এইক্ষেত্রে তার আবারো আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। আবার আপিলে যদি তার সাজার বিষয়ে কোনো কিছুই (বহাল বা স্থগিত) বলা না থাকে তাহলেও তিনি পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে নির্বাচন করতে পারবেন।’

সোমবার (২৯ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। নতুন করে আরেকটি মামলায় ৭ বছরের সাজা পাওয়া খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু বেগম খালেদা জিয়া নন, তাদের মতো যারা আছেন, তারা কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে যদি আপিল করেন, সেক্ষত্রে আপিল বিভাগ যদি আগের রায় স্থগিত করে আপিল গ্রহণ করেন, তবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। আর যদি স্থগিত না করে আপিল গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে তারা আদালতের নির্দেশনা চাইতে পারেন। এতে আদালত যদি নির্বাচনের জন্য অনুমতি দেয় কিংবা নির্বাচনের জন্য যোগ্য ঘোষণা করেন, তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। এটা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ আদালতের ওপর। আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতেই আমরা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবো।’

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা সেনাবাহিনীকে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় আমন্ত্রণ জানাবো।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১০ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতা রয়েছে। যদি ৩০০ কেন্দ্রেও ইভিএম ব্যবহার করি আমাদের বেশ কিছু সক্ষমতার প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে মেশিন কাস্টমাইজ করতে হবে, প্রশিক্ষণের বিষয় আছে ইত্যাদি। আমরা একটি প্রকল্প নিয়েছি। এতে প্রথমে অর্ধেক ইভিএম পরে কয়েক ফেজে ইভিএম ক্রয় করা হবে।’

বিএনপিসহ প্রায় দুই ডজন দল ইভিএম ব্যবহারের প্রতি অনাস্থা দিয়ে, এক্ষেত্রে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সমাজটি একটি আস্থাহীন সমাজ। একটা বিশ্বাসহীন সমাজে এমন থাকবে। এজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তাদের আস্থায় আনার জন্য আমরা ইভিএম কার্যাবলী পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানাবো।’

তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে সংসদ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে। তাই ৩১ অক্টোবর আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করবো। এখানে সরকারের নির্বাহী বিভাগ তথা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেবে। এতে নির্বাচনের জন্য আমাদের যে সব সহায়তা দরকার, তা নিশ্চিত করতে বলবো।’

নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। এ বিষয়ে কোনো ঘাটতি থাকলে তফসিল ঘোষণার পর আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ (ব্যবস্থা) নেব।’

সারাবাংলা/জিএস/এমও/জেডএফ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর