দণ্ডের বিধান রেখে ইটভাটা বিল পাস
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:০৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
সংসদ ভবন থেকে: সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০১৯’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদে পাস হওয়া এটিই প্রথম বিল।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। পাস হওয়া বিলে অনুমোদিত ইটভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে অটো ব্রিকস উৎসাহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদকে অধিক কার্যকর করতে এমপিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
ওই প্রস্তাব উত্থাপনকালে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করে যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে। যে কারণে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অথচ এ ধরনের ইটভাটা বন্ধ করে সারা দেশে অটো ব্রিকস স্থাপন করা গেলে পরিবেশের ক্ষতি অনেকটা কমানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ১০ বছরে শীর্ষ পদে সাড়ে সাত হাজার পদোন্নতি: সংসদে প্রতিমন্ত্রী
জবাবে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, নতুন আইনে অটোব্রিকসকে উৎসাহিত করার বিধান রাখা হয়েছে। কারণ একটি অটো ব্রিকস-এ একদিনে এক লাখ ইট উৎপাদন করা সম্ভব। আর বছরের ৩৬৫ দিনই ওই ভাটায় ইট উৎপাদন করা যায়। আর এটা করা গেলে সারা দেশে এতো ইটভাটার প্রয়োজন হবে না। নতুন আইন পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকার রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন করেই এমপিরা চলে যান, সংসদে শেখ সেলিমের ক্ষোভ
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি কৃষির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘টপ সয়েল’ রক্ষাসহ ইটভাটা জনিত পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ওই বিলটি জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করা হয়। এরপর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিটির বৈঠকে বিলটি যাচাই-বাছাই শেষে বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিলে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বিদ্যমান আইনের কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সময় সময় জারি করা রফতানি নীতি অনুসরণ ছাড়া ইট রফতানি করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বিলে লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিতের প্রস্তাব করা হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমএইচ