গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
২৪ মার্চ ২০১৯ ২২:০২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: একাত্তরের ভয়াল ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে চট্টগ্রামে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।
রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সংগঠনের জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকাণ্ড ছিল না। এই রাত ছিল পরবর্তী নয় মাসে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চালানোর নির্মম গণহত্যার সূচনা। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে এটি এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাদের সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ সবই ১৯৪৮ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘে গৃহীত ‘জেনোসাইড কনভেনশনে’ ঘোষিত গণহত্যার চুড়ান্ত উদাহরণ।
চুয়েট উপাচার্য বলেন, ২০১৭ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। আমরা এখন দিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছি। কিন্তু বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসের কলঙ্কিত এই দিনকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। সরকারকে এই ব্যাপারে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংগঠনের জেলা সভাপতি নুরুল আলম মন্টুর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সংগঠনের বিভাগীয় সমন্বয়ক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, জেলা পরিষদ সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ, সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বি কে বিশ্বাস বিপ্লব, সহ-সভাপতি ফজল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস।
সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জেলা কমিটির মহিলা সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট সাইফুন্নাহার খুশি।
সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ