‘ফায়ার সার্ভিসের সুবিধায় ৪ জায়গায় রাখা হবে সরঞ্জাম’
২৯ মার্চ ২০১৯ ১৩:০২
ঢাকা: অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস যেন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে সে জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সরঞ্জামগুলো এক জায়গায় না রেখে রাজধানী ঢাকা শহরের চার জায়গায় রাখা হবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেন সরঞ্জামগুলো নিয়ে খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারে।’
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর হাতিরঝিলে এম্ফিথিয়েটারে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্প’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা ফায়ার সার্ভিসকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। আমরা রাজধানী ঢাকাকে ‘সেফ সিটি’তে পরিণত করব। ভবিষ্যতে যে কোনো দুর্ঘটনা ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে। ক্যামেরার মাধ্যমে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে পুলিশের দরকার সেখানে পুলিশ যাবে, যেখানে অ্যাম্বুলেন্সের দরকার সেখানে অ্যাম্বুলেন্স যাবে। ঘটনা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের দরকার হলে ফায়ার কর্মীরাও যাবে। আমাদের সে ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে।”
আরও পড়ুন: বনানীতে আগুনের ঘটনায় ১৩ জন নিখোঁজের দাবি স্বজনদের
প্রধানমন্ত্রী ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বিদেশ থেকে অগ্নিনির্বাপণের নতুন নতুন সরঞ্জাম আনছি। ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের সক্ষমতায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস এখন আগের চেয়ে প্রশিক্ষিত হয়ে কাজ করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আমরা প্রায় ৬০ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরি করেছি। ভূমিকম্প বা যে কোনো দুর্ঘটনায় তারা যেন উদ্ধারকাজ করতে পারে। চুড়িহাট্টায় এ ভলান্টিয়াররা কাজ করেছেন।’
বনানীর এফআর টাওয়ারে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতে দেরি হওয়া বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘একটা ব্যস্ততম সময়ের মধ্যে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা শহরে সবসময়ই যানজট লেগে থাকে। ফায়ার সার্ভিসের যে সব গাড়ি কাছাকাছি ছিল, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গেছে। যানজটের জন্য তাদের পৌঁছাতে সামান্য দেরি হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা অগ্নিনির্বাপণের দায়িত্বে ছিলেন, তারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। এ জায়গায় তাদের কোনো ত্রুটি ছিল না।’
সারাবাংলা/জেএইচ/আরএ/এমএইচ/একে