সরে যাচ্ছে এফআর টাওয়ারের অনেক অফিস
১ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:২০
ঢাকা: আগুনের পর এবার সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বনানীর এফআর টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের অনেক অফিস। সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর এই ব্যস্ত অফিস পাড়ায় গিয়ে দেখা গেলো মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
সারাবাংলাকে তারা বললেন, এই ভবনে কমপক্ষে তিন মাস অফিস ব্যবহার করা যাবে না মর্মে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাই অন্য স্থানে অফিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
দুপুর ১২ টার দিকে দেখা যায় পুলিশ পাহারায় এফআর টাওয়ারের বিভিন্ন অফিসের মালামাল বের করে ভবনের সামনে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ মালপত্র কাঁধে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। সাত ঘণ্টার চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার ব্রিগেডের ২১টি ইউনিট। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ভবনের বেশ কয়েকটি তলা। এছাড়া আগুনে পুড়ে ও আতঙ্কে লাফ দিয়ে নিহত হয় ২৫ জন। আহত হন অর্ধ শতাধিক মানুষ।
বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন, প্রতি মুহূর্তের আপডেট
এফআর টাওয়ারের ১৬ তলায় ডার্ট গ্রুপে চাকরি করেন শফিকুল ইসলাম। মালামাল বের করার পর তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ভবনটি ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুয়েটের টিম আগামী তিন মাস ভবন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়েছে তাই আমরা চাকরিজীবীদের স্বার্থে মালিকের নির্দেশে অফিসের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছি।
পঞ্চম তলায় আমরা নেটওয়ার্ক নামে কোম্পানির সহকারী পরিচালক কাজী রিয়াজুল বাশার বলেন, যেহেতু ভবনটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না আমাদের আরও অফিস আছে সেখানে শিফট করছি।
মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে, ১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ তলার অফিসের লোকদেরও।
বনানী থানার এসআই কাজী ফারুক হোসেন প্রথমে সারাবাংলাকে বলেছিলেন, এখন শুধুমাত্র কাগজপত্র, কম্পিউটার ল্যাপটপসহ অন্যান্য হালকা জিনিসপত্র বের করতে দেওয়া হচ্ছে। তদন্তের জন্য আগুনের আলামতসহ ভারি জিনিসপত্রের কিছুই এখন বের করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে পরবর্তীতে পুলিশ জানায়, ভারি মালামালও নিতে দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/ইউজে/