বিদ্যুৎ অফিস ও হাসপাতালে দুদকের অভিযানে ব্যাপক অনিয়ম
৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:২১
ঢাকা: বিদ্যুৎ অফিস ও হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক অনিয়ম উদ্ঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক। গ্রাহকদের নানাভাবে জিম্মি করে ওই অফিসের লোকজন অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়েছেন। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) পাওয়া এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহাতাব উদ্দীন ও আহমেদ ফরহাদ হোসেন এর নেতৃত্বে টিমটি সকালে অভিযান চালায়।’
অভিযানকালে দুদক টিম দেখে, মিটার রিডাররা এবং বিল প্রস্তুতকারীরা নানাভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাসিক বিল নিয়মিতভাবে প্রদান করা হচ্ছে না। একাধিক মাসের বিল একসঙ্গে প্রস্তুত করা হচ্ছে। ফলে গ্রাহকদের অতিরিক্ত হারে বিল দিতে হচ্ছে। এছাড়াও কোনোরূপ নোটিশ প্রদান না করেই আবাসিক সংযোগের গ্রাহকদের বাণিজ্যিকহারে বিল করা হচ্ছে। মিটার রিডাররা মিটার যাচাই না করেই মনগড়া বিল করছেন এমন বেশকিছু প্রমাণ পায় দুদক টিম।
দুদক টিমের অবস্থানকালে ভুক্তভোগীরা নতুন সংযোগ এবং মিটার প্রদানের সময় নির্ধারিত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ করেন। মিটারের জামানত এবং নিবন্ধন বাবদ মাত্র একজন নতুন গ্রাহকের ৪৫০ টাকা প্রদান করার হার নির্ধারিত থাকলেও প্রত্যেকের নিকট হতে কমপক্ষে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং অর্থ প্রদান না করলে সংযোগ না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই অফিসের বিরুদ্ধে।
দুদক টিমের অনুসন্ধানে ২০১৮ সালে ৪২৭টি এবং ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত নতুন সংযোগের ২০৯টি আবেদন রয়েছে বলে জানা গেছে। একইভাবে অনুমোদিত কিন্তু সংযোগ দেওয়া হয়নি এরূপ ১২৭টি আবেদনের সন্ধান পায় দুদক। দুদক টিম সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখে এবং পর্যবেক্ষণসমূহ মহাব্যবস্থাপক -এর কাছে উপস্থাপন করে।
অপরদিকে ঢাকার মহাখালীস্থ জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়েছে দুদক। হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে রোগী এবং স্বজনদের হয়রানি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পায় দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম তাদের সুপারিশসমূহ হাসপাতালের পরিচালকের কাছে উপস্থাপন করে। যারা দীর্ঘদিন চাকরি করছেন তাদের বদলি করার তাগিদও দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এসজে/একে