চৈত্র-বৈশাখ মাসে আগুন লাগার প্রবণতা বেশি: প্রধানমন্ত্রী
৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:২৫
ঢাকা: বনানীর বহুতল ভবনে আগুন লাগার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কয়েকদিন আগে আগুন লেগেছে। বহু লোক হতাহত হয়েছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
‘আমরা জানি চৈত্র-বৈশাখ মাসে আগুন লাগার প্রবণতা আমাদের দেশে বেশি থাকে। যাই হোক যখনই আগুন লাগছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহীর সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একটা কথা আমি বলব। ফায়ার আমাদের কিছু লোক খামাখা উত্তেজিত হয়ে একটা গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দিচ্ছে। দেরি হচ্ছে কেন সেই জন্য ফায়ার সার্ভিসের লোককে মারছে। সেটা না করে এক বালতি পানি এনে নেভানোর চেষ্টা করতো। তাহলে ভালো কাজ করত।’
বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নামে হাজার হাজার মামলা দেওয়া হয়েছিল। ২০০১ সালে এমন একটা অবস্থা ছিল আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে পর্যন্ত যেতে পারতাম না। ২০০৮ সালে নির্বাচন হলো। মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলো। তারপর আমরা সরকার গঠন করলে অবস্থার পরিবর্তন আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৩-১৪ আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা। যেভাবে তারা নির্যাতন করেছে। বিদ্যালয়, সরকারি অফিস, বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। এই হলো বিএনপির অপকর্ম। এসব অপকর্মে যারা জড়িত ছিল, বিশেষ করে অগ্নি সন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জাড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে তো মামলা হবেই। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা, সেটা তার পছন্দের লোকদের হাতেই হয়েছে।’
জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন কৌশলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে ব্যাপক দুর্নীতি করে তারা যে অগাদ সম্পদের মালিক সেটা এখনো বোঝা যায়। নির্বাচনের সময় আমরা তাদের দুর্নীতির চিত্র দেখেছি। একেকটা সিটের পেছনে যে টাকা, তাদের যে নমিনেশন বাণিজ্য। যাদের নমিনেশন দিলে জিতত, তাদের না দিয়ে যারা মোটা অংকের টাকা দিয়েছে তাদেরই নমিনেশন দেওয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের তাদের ন্যূনতম আগ্রহ দেখা যায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচন তাতে ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে, তারা জিততে পারেনি। ওদিকে লন্ডন থেকে ওহি নাজিল হয়। তারা জানে যে, জনগণ তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। যে কারণে নির্বাচনের নামে বাণিজ্য করা তারা মুখ্য মনে করেছিল, সেটাই তারা করে গেছে। জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা আবার সরকার গঠন করেছি। আয়-বৈষম্য কমিয়ে এনে উন্নয়নের ছোঁয়া সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য ছিল। সেটা আমরা করে যাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘একটা কথা বলব, দেশ এখন দ্রুত উন্নতি করছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এসেছি। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়নি। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা আগেও চক্রান্ত করেছে।’
সারাবাংলা/এটি/একে