Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিকিউরিটি অ্যালার্ট কেন, আমেরিকার কাছে জানতে চাই: প্রধানমন্ত্রী


৫ এপ্রিল ২০১৯ ২০:০০

ঢাকা: হঠাৎ কেন, কী কারণে বাংলাদেশে সিকিউরিটি অ্যালার্ট তার ব্যাখ্যা ও কারণ বাংলাদেশের অথরিটিকে জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার ( ৫ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রুদ্ধদার বৈঠক শুরু হয়

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ দেখলাম আমেরিকা একটা সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে। তারা কী কারণে অ্যালার্টটা দিল আমার কাছে সেটার ব্যাখ্যাও দেননি! কাজেই যদি তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে তাহলে তাদের কর্তব্য হচ্ছে আমাদের অথরিটিকে জানানো।’

আরও পড়ুন: চৈত্র-বৈশাখ মাসে আগুন লাগার প্রবণতা বেশি: প্রধানমন্ত্রী

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরইমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি খোঁজ নিতে? কেন, কী, কারণে? তাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কি না? যদি কোনো তথ্য থাকে যে, কোনো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে তাহলে তাদের একটা দায়িত্ব আছে আমাদের অন্তত সে বিষয়টা জানানো। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো, যাতে আমরা তা মোকাবিলা করার ব্যবস্থা নিতে পারি।’

সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকায় আগুন দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আগুন তো সব দেশেই লাগে। ওই আমেরিকাতেও একটা হাসপাতালসহ সারকারখানা থেকে সব পুড়ে শেষ? কত লোক মারা গেছে জানি না? লন্ডনে আগুন লাগল ৭০ জন মারা গেল? আর যে কত মারা গেছে তার হিসাবও নাই, সেখানে হিসাবও হয় না। উদ্ধারকাজও আমাদের মতো কেউ চালায় না। তাহলে অ্যালার্টটা তারা কেন দিল?’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘টেররিজম একটা সমস্যা। টেররিজম শুধু আমাদের দেশে নয় সারাবিশ্বব্যাপী সমস্যা।’

আরও পড়ুন: সেলফি না তুলে কয়েক বালতি পানি আনলেই হয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমন করতে পেরেছি। একটা ঘটনা ঘটার পর থেকে আমরা যথেষ্ট সজাগ। আমাদের ইন্টেলিজেন্স সবসময় সজাগ। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, সবসময় তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে প্রত্যেকটি ঘটনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই এখন যদি তাদের কোনো তথ্য থাকে, তাদের কর্তব্য হচ্ছে আমাদের অথরিটিকে জানানো।’

‘আসলে বাংলাদেশ এত দ্রুত উন্নতি করে যাচ্ছে। আজকেও দেখেছেন প্রবৃদ্ধি অর্জনের সর্বোচ্চ ৫টি দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ। এখন স্বাভাবিক, যারা কখনো চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন থাকুক। আর স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতাকে হত্যার পরে যারা এসেছে ক্ষমতায়, এই বাংলাদেশ আর্থ সামাজিকভাবে উন্নতি করুক, সফলতা অর্জন করুক, এটাও অনেকেই চায়নি। তাই তারা অনেকে চক্রান্ত করেছে জানি। তারপরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ইনশাল্লাহ আমরা এগিয়ে যাবোই। কারণ জাতির পিতা বলেছেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। এটা হলো বাস্তবতা। আমাদেরকে সেভাবেই কাজ করতে হবে। দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবো।’ জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করে দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাবো বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস, ২৭ এপ্রিল শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী, ২৮ এপ্রিল শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন,  ১ মে মহান মে দিবস, ৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচিসহ শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।

কার্যনির্বাহী সংসদের সভা পরিচালনা করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বদরউদ্দীন আহমদ, এসএম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, মির্জা আজম, এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, পারভীন জামান কল্পনা, ইকবাল হোসেন অপু, মারফা আক্তার পপিসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর