ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শন
৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:১৯
ঢাকা: প্রফেসর কর্নেল মিশেল পি জিক এর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আর্মি ওয়ার কলেজের ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেছেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত সুনামের প্রেক্ষিতে এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশ হিসেবে প্রতি বছরই ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শনে আসেন।
২৩ সদস্যের এই ডেলিগেশনে ওই কলেজে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
স্বাগত বক্তব্যে তিনি অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ব্যাপক অবদান এবং অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌন নির্যাতন ও এর অপব্যবহার রোধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।
তিনি বাংলাদেশের অভাবনীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। স্বল্প উন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে’।
বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও শিল্পসমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার জন্য যে রূপকল্প গ্রহণ করেছে তাও উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বহুমুখি সহযোগিতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা ও বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সামনের সারির একটি দেশ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৮১ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের ৫৪টি পিস কিপিং মিশনে অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে ১০টি মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন ৬ হাজার ৭০৫ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় এ পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন ১৪৬ জন আর আহত হয়েছেন ২২৭ জন।
সারাবাংলা/এমএইচ